লিড ব্যাংক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্র্যাক ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স
Published: 11th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় লিড ব্যাংক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স আয়োজনের লক্ষ্য হলো, ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করা এবং ছোটবেলা থেকেই তাঁদের প্রয়োজনীয় আর্থিক জ্ঞান ও সচেতনতাসহ সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করা। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পরিচালিত সকল ব্যাংক, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। আয়োজনে আধুনিক ব্যাংকিং প্র্যাকটিস ও আর্থিক সাক্ষরতা নিয়ে সেশন পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আর্থিক সাক্ষরতা উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী এমন কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স পরিচালনা করে থাকে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে উক্ত জেলায় পরিচালিত ৩০টি ব্যাংক। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো.
শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এদিন স্কুল ব্যাংকিং কনাফারেন্স শুরু হয় র্যালির মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠান শেষ হয় শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে, যেখানে তাঁরা তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় লিড ব্যাংক হিসেবে এমন আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে ব্র্যাক ব্যাংক গর্বিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীরা যাতে সদা পরিবর্তনশীল আধুনিক বিশ্বে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং জ্ঞান ও আর্থিক দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই কনফারেন্স সম্পন্ন হয়েছে।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড কনফ র ন স ও আর থ ক পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল, বিক্ষুব্ধ জনতার থানা ঘেরাও
মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত অফিসারের শাস্তির দাবিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কয়েকশ ছাত্র ছাত্রী সদর থানা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তদন্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমারকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এছাড়া মেহেরপুর সেনাবাহিনীর মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষকের বিচার হবে বলে আশ্বাস দেন।
জানা যায়, গেল বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চকলেট দেওয়ার নাম করে মেহেরপুরে ৯ বছরের শিশুকে এক তরুণ তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছেলের এক বন্ধু এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। এরপর আবারও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবি করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আসামিরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে শিশুটির মা বাদী হয়ে ৩ জনের নামে মেহেরপুর আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়।
জামিনের পর তারা আবারও ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার বাদী প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই সুজয় কুমার উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেন। এসময় এসআই সুজয় কুমার ধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষ থেকে বাদীকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত চাপ দিতে থাকেন।
খবর পেয়ে থানায় গিয়ে প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী তুষার ইমরান ও সিয়াম আহাম্মেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সুজয় কুমার থানার মধ্যেই তুষার ও সিয়ামের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম। বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ সুপার স্থান ত্যাগ করতে চাইলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা পুলিশ সুপারের বক্তব্য প্রত্যাখান করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের শর্ত মেনে মধ্য রাতে এসআই প্রত্যাহার, আসামীর জামিন বাতিলে উদ্যোগী হওয়া ও আসামিদের পুনরায় গ্রেপ্তারের আশ্বাসে ছাত্র-জনতা স্থান ত্যাগ করেন।
পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম বলেন, ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী উপরিদর্শক (এসআই) সুজয় কুমার মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজনকে আটক করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।