ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রযুক্তি ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তিতে আবেদনের সময় ও পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া দিচ্ছে ‘ভাইস চ্যান্সেলর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ’, টিউশন ফির ৫০ শতাংশসহ নানা সুযোগ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রযুক্তি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের শেষ তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৭ এপ্রিল রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা ২৬ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৭ মে বেলা ১১টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত জানতে প্রযুক্তি ইউনিটে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি এবং সংশোধিত ভর্তি নির্দেশিকা আবেদনকারীদের দেখতে হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ ইউনিটের আবেদন ফি ৮৫০ টাকা। আবেদনের তথ্য/ছবি সংশোধনের শেষ দিন ১৪ এপ্রিল। প্রবেশপত্র সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল, বেলা ৩টা থেকে পরীক্ষার ১ ঘণ্টা আগপর্যন্ত। ভর্তি–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি, আবেদন করুন দ্রুত৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

বসন্তের প্রকৃতিতে রক্তকাঞ্চনের সাজ

বসন্তের প্রকৃতি সেজেছে পলাশ, শিমুলসহ নানা ফুলের রঙে। এর সাথে রং লেগেছে রক্তকাঞ্চনেও। মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে রাজনগর উপজেলার নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়িতে শোভাবর্ধণের জন্য পথের ধার ঘেঁষে রোপণ করেন রক্তকাঞ্চনের গাছ। চলতি বসন্তে রঙিন হয়ে ফুটেছে কাঞ্চন। নজর কাড়া সেই ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।

রক্তকাঞ্চনের বৈজ্ঞানিক নাম Bauhinia variegate. Gi cwievi Fabaceae ইংরেজী নাম Camelos foot Tree. এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃক্ষ। গাছ ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়। মূল কাণ্ডের সাথে একাধিক কাণ্ড দেখা যায়। পাতাগুলো দেবকাঞ্চনের চেয়ে আকারে ছোট, গড়ন গোলাকার, আগার দিকে বিভক্ত। বীজ ও কলমে চাষ হয়। 

এর আদি আবাস ভারতীয় উপমহাদেশে। বাড়িতে এ বৃক্ষ শোভাবর্ধনকারী হিসেবে সমাদৃত। তবে পার্ক ও সড়কের দুধারেও লাগানো হয় ওই গাছ। ফুল ফুটলে এ কাঞ্চনের রূপে বিমোহিত হয় মানুষ। বসন্তে প্রায় নিষ্পত্র গাছ গোলাপি-বেগুনি রঙের ফুলে ছেয়ে থাকে। তার পাঁচটি পাপড়ির মধ্যে একটি বড় ও গাঢ় রঙের, তাতে রয়েছে কারুকার্যতা এর ফল শিমের মতো।

রক্তকাঞ্চনের একটি সাদা ফুলের জাতও আছে, ভারি সুন্দর। এলাকায় গেলে দেখা হয় পথচারী কামরান আহমদের সাথে তিনি বলেন, “বসন্তে নানা ফুলে প্রকৃতি সাজে। এর মধ্যে রক্তকাঞ্চন ফুলটা আলাদা ধরনের, দেখতে মনোহরী।”

এসময় কথা হয় এলাকার জুয়েল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, “হরেক রকম ফুল প্রকৃতিতে দেখা যায়। কিছু কিছু ফুল মানুষের মন ভরে দেয়। নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়ির প্রবেশ পথ দিয়ে যেতে যেতে পাশে চোখ পড়লে মনে হবে অতিথিকে অর্ভ্যথনা জানাতে রক্তকাঞ্চনের দু’টি গাছ দাঁড়িয়ে আছে।”

হীরাসেন বলেন, “বাড়ির শোভাবর্ধনের জন্য দু’টি গাছ কয়েক বছর আগে রোপন করি। এবার রক্তকাঞ্চনের ফুল ফুটেছে। এছাড়াও আমার বাড়িতে আরো অনেক জাতের ফুল গাছ রয়েছে। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে বিভিন্ন ধরনের ফুল প্রয়োজন হয়, তাই অনেক জাতের ফুল গাছ লাগাই। রক্তকাঞ্চন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। আগের মত এর দেখা মেলে না।”

ঢাকা/আজিজ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ