ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
Published: 11th, February 2025 GMT
চাঁদাবাজির অভিযোগে পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) ও পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করেন মামুন আলী ওরফে কিং আলী নামের এক বিএনপি নেতা। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী জানান, ওসি তদন্ত বাবুল আজাদের নেতৃত্বে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মামুন আলীর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ১৯ অক্টোবর বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
মামলার আসামিরা হলেন- পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আজাদ, এসআই মানিক ঘোষ, আসাদুল হক ও কিশোর মজুমদার এবং এসএস ট্রেডিংর সত্ত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপক মো.
বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান জানান, ওসি তদন্ত বাবুল আজাদের নেতৃত্বে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মামুন আলীর কাছ থেকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মামুন আলীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর তার ডিপোর সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান। আদালত মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বন্দর এলাকার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকায় ২০ হাজার টন পাথর কেনেন মামুন আলী। পাথরগুলো পাহাড়তলীর টোল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে এনে রাখেন। ১৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সন্ধ্যায় বাদী ওসির কাছে গেলে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে থানায় আটকে মারধর এবং পরদিন তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২৪ অক্টোবর ৩০টি ট্রাক নিয়ে গিয়ে ডিপোর মালামাল লুট করে নেন অভিযুক্তরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাসেলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে ওই ১৩ জনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনিক কারণে ১৩ পুলিশ সদস্যকে সিলেট পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নির্দেশনার দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা সেখানে সংযুক্ত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও ৯ জন কনস্টেবল। তাঁরা হলেন এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর তোলা হচ্ছে। ওই পাথর ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করা হয়। পাথরবোঝাই গাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পাথরবোঝাই গাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিপ্রেক্ষিতে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। এরপর তাঁদের থানা থেকে প্রত্যাহার করা হলো।