যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্বসেরা পাঁচ বিজ্ঞানী। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷ 

ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিজ্ঞানীরা হলেন, মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড.

সাইদুর রহমান, জাপানের তহুকো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তাডাহেরু কোমেডা, চায়নার জর্জিয়া টেক সেনজেন ইনস্টিটিউটের খণ্ডকালীন সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী সাদ আলী, জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ম্যাটেলিয়ালস্ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তমোহিরো হায়েসি এবং চায়নার হেনান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জিউহা লিউ।

যবিপ্রবির নিয়োগ পাওয়া এ বিজ্ঞানীরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন। যা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের বিশ্বের কাছে পরিচিত হতে সহযোগিতা করবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

গত ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০৪তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচজন অধ্যাপককে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে ১ বছরের জন্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদ্রাসাপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মোজাম্মেল হোসেনকে আদালতে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোজাম্মেল উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চৈতানগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।   

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য তার বাবার কাছ থেকে ১৩০ টাকা নেয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মোজাম্মেল হোসেনের দোকান থেকে ১০ টাকার একটি কলম কিনে মনের ভুলে বাকী টাকা দোকানে ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুসময় পর ফেলে আসা টাকা আনতে পুনরায় মোজাম্মেলের দোকানে যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় মোজাম্মেল বলেন, দোকানে টাকা নেই। বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আনতে। পরে সে মোজাম্মেলের বাড়িতে টাকা আনতে যায়। এসময় মোজাম্মেল ওই শিক্ষার্থীর পিছু নেন। সে ঘরে প্রবেশ করতেই মোজাম্মেল ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, ১৭ ও ১৯ জানুয়ারি চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুনরায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন মোজাম্মেল। আর এ ঘটনাটি কাউকে বললে ওই শিক্ষার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও ভয় দেখান মোজাম্মেল। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় যেতে রাজি হচ্ছিল না। কেন সে মাদ্রাসায় যেতে চায় না এর কারণ তার মা জানতে চাইলে কয়েকদিন পর বিষয়টি সে খুলে বলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন সমকালকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ