বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে এ কে এম মহসীন ও সাধারণ সম্পাদক পদে বাবুল তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী দুই বছর তাঁরা এই দায়িত্ব পালন করবেন।

গত শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ সদস্যের কমিটিতে সহসভাপতি পদে মশিউর রহমান ও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সালেকুজ্জামান চৌধুরী রাজীব নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এম খোকন সিকদার, দপ্তর সম্পাদক পদে ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুল আলম, মাহবুব হোসেন খান, মো.

আমিনুল ইসলাম ও কাজল হাজরা।

এ ছাড়া অর্থ সম্পাদক পদে নাসিম সিকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সৌরভ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েশনে মোট ভোটার ১৭২ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১৬৩টি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।

পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।

নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ