নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সব পুরনো কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি করার নির্দেশ
Published: 11th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির সকল ইউনিট কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্র। নির্দেশনায় ৭ দিনের মধ্যে ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ৩১ সদস্যে উন্নতি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সম্মেলন করাও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ্য করেন, ক) নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলা বিএনপি'র আহবায়ক মামুন মাহমুদ, ১নং যুগ্ম আহবায়ক মুস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূঁইয়া এবং যুগগ্ম আহবায়ক মাশেকুল ইসলাম রাজীব এর যৌথ স্বাক্ষর থাকতে হবে।
খ) নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটিকে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিতে উন্নীত করে একটি লিখিত তালিকা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিতে হবে।
গ) আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জেলাধীন সকল স্তরের ইউনিট সমূহে সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করে জেলা বিএনপি'র সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করতে হবে। চিঠিতে জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের কোন সাইনিং পাওয়ার রাখা হয়নি। যদিও তিনি আহবায়ক কমিটির ৫ নাম্বার সদস্য।
এ বিষয়ে মামুন মাহমুদ বলেন, কেন্দ্র থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি পেয়েছি।
চিঠিতে ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দেবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো জানান, ৩১ সদস্যের কমিটি করার পর বৈঠক ডেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিট কমিটিগুলি কিভাবে করা যায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।
আমি আশা করছি এবার এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দল সাংগঠনিক ভাবে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেবে ইনশাআল্লাহ। কারণ এসব কমিটি আসন্ন নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত: গত ২ জানুয়ারি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়াকে। যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, শরীফ আহমেদ টুটুল এবং সদস্য রাখা হয়েছে মো: গিয়াস উদ্দিনকে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ব এনপ র স কম ট র স সদস য র র কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
রূপায়ণ টাউনে চাঁদার অভিযোগ করতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলো আজমেরীর ক্যাডার রাজ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড়ে চাঁদাবাজি অভিযোগ করতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলেন আজমেরী ওসমানের ক্যাডার এম এ হুসাইন রাজ। তথ্যমতে, বিগত আওয়ামী শাসনামলে ওসমান পরিবার শীর্ষ ক্যাডার আজমেরী ওসমানের ক্যাশিয়ার গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিল।
গত জানুয়ারি ২০২৫ এ উক্ত ব্যক্তি রূপায়ণ টাউনে এম এ হুসাইন রাজের সেলটারে তার ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান নেয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সে খবর জানাজানি হলে রাজ কৌশলে উক্ত ভাড়াটিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এরো পূর্বে উক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে কাজ করে দেয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নেয়।
সে সকল পাওনাদাররা উক্ত ব্যক্তির তথ্য পেয়ে তার বাড়ি মালামাল আটকাতে চাইলে তাতেও বাধা প্রদান করে রাজ। এরূপ পরিস্থিতিতে লিটন সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে এর সমাধানের চেষ্টা করা হলে রাজের সাথে লিটনের কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় রাজ তাদের দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে।
ঘটনা তদন্তে জানা যায়, বিগত আওয়ামী শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজামসহ মেম্বার আল মামুন মিন্টু যুবলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ জুলহাসসহ তাদের পালিত বাহিনী রূপায়ণ টাউন নিয়ন্ত্রণ করত এবং তাদের নেতৃত্বে রূপায়ণ ভুইঘর মামুদপুর সহ আশেপাশের এলাকায় মাদক বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো।
অবৈধ কাজের থেকে অর্জিত টাকার একটি ভাগও পেতো রাজ। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলে খোলস পাল্টে এখন ছাত্র সমন্বয়ক সাজার চেষ্টায় এবং পুনরায় রূপায়ণকে নিজের কব্জা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় রাজ লিপ্ত। এছাড়াও রাজএর রূপায়নের অফিসে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বাধা প্রদান করাতেই সে লিটন সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে থানায় একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য গত ২৩ জুলাই লিটনকে নাশকতার মামলায় ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয় এবং ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ৬ আগষ্ট মুক্তি পান লিটন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাজিদুল ইসলাম জানান, ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন সাজসহ আশেপাশের লোকজনের দেয়া তথ্য মতে অভিযোগের উল্লেখিত তথ্য ও মিথ্যা বলে জানান স্থানীয়রা।
সেই সাথে সাজ্জাদ ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এধরনের কোন তথ্য বা অভিযোগের সম্পর্কে কেউ কোনরূপ সত্যতার প্রমাণ দিতে পারবে না তাছাড়া লিটন বা নিজ নাম সহ অন্যান্যদের নামে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও এই ধরনের কোন অভিযোগ নাই বলে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেন সাজ।
স্থানীয়রা জানান, তোফায়েল হোসেন লিটন অত্যন্ত ভদ্র, সামাজিক ও অর্থবিত্ত সম্পন্ন সম্ভ্রান্ত লোক। তার নামে এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ এবং চাঁদাবাজির মত নোংরা ঘটনা একেবারেই অসম্ভব। এই ধরনের নোংরা ও অপবাদ মূলক অভিযোগের নিন্দা জানার স্থানীয়রা।