আড্ডা, নাচ-গান আর স্মৃতিচারণায় মেতেছিলেন থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীরা
Published: 11th, February 2025 GMT
হয়ে গেল আবদুল্লাহ আল-মামুন থিয়েটার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীর সম্মিলন। ‘আনন্দযজ্ঞে তোমার নিমন্ত্রণ’ শিরোনামে গত শুক্রবার দিনভর রাজধানীর মহিলা সমিতি মিলনায়তনে ছিল এ আয়োজন। এতে দুই শতাধিক প্রাক্তনী অংশ নেন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও প্রশিক্ষকেরা। বহুদিন পর পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে দিনভর হইহুল্লোড় আর গল্প–আড্ডায় মাতেন প্রাক্তনীরা।
১৯৯০ সালে থিয়েটার স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন ছাত্র–ছাত্রীদের মেলবন্ধন ঘটাতে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনী। প্রাক্তনী নানা রকম আয়োজন করে আসছে সেই থেকেই। আবদুল্লাহ আল-মামুন থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীর সম্মিলন ২০২৪ উৎসর্গ করা হয়েছে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র অলিউল হক রুমির স্মৃতির প্রতি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
সম্মিলনের উদ্বোধন করেন থিয়েটার স্কুলের অধ্যক্ষ নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। তিনি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধিকার আন্দোলন ও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আহতদের রোগমুক্তি কামনা করেন। থিয়েটার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্ব–স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে সমাজের উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন উল্লেখ করে তিনি সবাইকে মানবিক মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর তাঁকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন সম্মিলনের আহ্বায়ক সৈয়দ আপন আহসান। আহ্বায়কের বক্তব্যে সৈয়দ আপন আহসান আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন প্রজন্ম আবদুল্লাহ আল-মামুন থিয়েটার স্কুলের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হবে, থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীকে আরও গতিশীল করবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানের সম্ভাবনা বেশি: পন্টিং
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে বাকি আর ৭ দিন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, টুর্নামেন্ট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ ততই বাড়ছে।
দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করাও শুরু হয়ে গেছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠবে কারা, কোন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, কোন দল চমক দেখাতে পারে—এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করছেন কেউ কেউ।
রিকি পন্টিং সরাসরি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করেননি। তবে দলগুলোর শক্তিমত্তা–দুর্বলতার জায়গাগুলো দেখে তাঁর মনে হচ্ছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের ঘাটতি আছে। মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ–নাজমুল–তাসকিনদের চেয়ে রশিদ–নবী–গুরবাজদের আফগানিস্তানকেই এগিয়ে রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক।
২০০৬ ও ২০০৯ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দুবার এই শিরোপা জেতা একমাত্র অধিনায়কও তিনি। আট বছর পর ফিরতে চলা আইসিসির এই ইভেন্ট নিয়ে পন্টিং কথা বলেছেন আইসিসি রিভিউয়ে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরার স্ত্রী, ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপিকা সঞ্জনা গণেশন।
সঞ্জনা পন্টিংয়ের কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, তারা (বাংলাদেশ) চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বেশ ভুগতে চলেছে। আমার মনে হয়, অন্য দলগুলোর সঙ্গে মানের বিচার করলে এই দলটা পিছিয়ে থাকবে। তাদের দলে কোয়ালিটির (মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের) কিছুটা অভাব আছে।’
৫০ বছর বয়সী পন্টিং আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ঘরের মাঠের মতো আদর্শ কন্ডিশন পায়, তাহলে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় না চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা সেই সুবিধা পাবে। আপনি (সঞ্জনা গণেশন) যাদের নাম বললেন, তারা বড় মাপের ও বেশ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বড় টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশ সেসব খেলোয়াড়ের ওপর (অতিমাত্রায়) নির্ভরশীল। এই শূন্যস্থান পূরণ করা তাদের জন্য কঠিন হবে। আমার তো মনে হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানের (ভালো করার) সম্ভাবনা বেশি।’
কদিন আগে পাকিস্তান কিংবদন্তি শোয়েব আক্তারও জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিনি আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম এই বোলার বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা যদি পরিপক্বতা ধরে রাখতে পারে, তাহলে তারা অপ্রত্যাশিত কিছু (অঘটন) করে ফেলতে পারে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। শোয়েব মনে করেন, ফাইনালে ভারত–পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁর এই কথার অর্থ, বাংলাদেশকে তিনি চ্যালেঞ্জ মনে করেন না এবং সেমিফাইনালেও দেখেন না।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। গত বছর ৯ ওয়ানডে খেলে ৬টিতে হেরেছে, সর্বশেষ দুটি সিরিজেও হার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে হয়েছে ধবলধোলাই, শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে ২–১ ব্যবধানে।
বিপরীতে আফগানিস্তান গত পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে চারটিতেই জিতেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্মরণীয় সিরিজ জয়ও আছে। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত খেলেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাকে তারা হারিয়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে গেছে। নয়তো সেবারই সেমিফাইনালে উঠতে পারত।
অল্পের জন্য ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নপূরণ না হলেও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি আফগানদের। গত বছর ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের মতো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েই শেষ চারে পৌঁছে যান রশিদ–নবীরা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।