গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছর ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে উপাচার্য একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সত্যানুসন্ধান কমিটির নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিংসতায় আক্রান্ত, আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেক অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। সেসব অভিযোগের সমর্থনে ভিডিও, ছবি এবং প্রিন্ট ও সোশাল মিডিয়ার কন্টেন্ট প্রেরণ করেছেন, যা ছিল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। সত্যানুসন্ধান কমিটি নিজ উদ্যোগেও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এছাড়া সত্যানুসন্ধান কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে।

প্রাপ্ত তথ্যাদির উপর ভিত্তি করে সত্যানুসন্ধান কমিটি সহিংস ঘটনায় জড়িতদের অনেককে চিহ্নিত করতে পেরেছে। বর্তমানে সত্যানুসন্ধান কমিটি চিহ্নিতদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ সম্পন্ন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করছে।

সত্যানুসন্ধান কমিটির ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সত্যানুন্ধান কমিটি আশা করছে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ধ ন কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে, নারীকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন

বরগুনার আমতলীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে যাওয়ায় এক নারীকে (৩২) মারধর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, ওই বাড়ির লোকজন তাঁকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। আহত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে ওই নারীর সঙ্গে খালাতো দেবর আবুল কালাম মীরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ঘটনার জেরে গত মার্চ মাসে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। ওই তিন সন্তান তাদের দাদির কাছে থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের পর ওই নারী আবুল কালাম মীরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। তবে আবুল কালাম মীর রাজি হচ্ছিলেন না। গত রোববার সন্ধ্যায় ওই নারী কালামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। ওই সময় কালাম বাড়িতে ছিল না। রাতে কালামের মা-ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা ওই নারীকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। তাঁর দুই হাত, দুই পা, বাহু, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাম সিকদার ও হাসনেহেনা বেগম তাঁকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে গতকাল সোমবার তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, ‘বিয়ের দাবিতে আবুল কালাম মীরের বাড়িতে অনশনে বসেছিলাম। তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। আমাকে তিন ঘণ্টা নির্যাতন করেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জানতে আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর বড় ভাই আবুল হোসেন মীর বলেন, ‘যে নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তিনি ও তাঁর স্বামী কালামের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। ওই টাকা যাতে শোধ করতে না হয়, সে জন্য তাঁরা প্রেমের সম্পর্কের নাটক সাজিয়েছেন। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারও কোনো সম্পর্ক ছিল না।’

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকা নেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁরা একটি নাটক সাজিয়েছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ