বন্দরে ৪ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 11th, February 2025 GMT
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বন্দর পৃথক ২টি স্থানে মারামারি ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৪ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বন্দর ইউনিয়নের পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার মৃত আবুল রব সরকারের ছেলে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীন সরকার (৫৫) একই ইউনিয়নের তিনগাও এলাকার সাহাবদ্দিন সরদারের ছেলে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন মাসুদ (৩১) ও একই এলাকার মৃত তাহের আলী মিয়ার ছেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী জসিম উদ্দিন (৪০) ও ধামগড় ইউনিয়নের মালিভিটা এলাকার মৃত শমসের আলী মিয়ার ছেলে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সদস্য সফর উদ্দিন মেম্বার (৫৫)।
গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনের মধ্যে শাহীন সরকার,আলমগীর হোসেন মাসুদ ও জসিম উহদ্দিনকে ১১(৯)২৪ নং মামলায় ও অপরধৃত আওয়ামীলীগ নেতা সফর উদ্দিনকে বন্দর থানার ১৭(৮)২৪ নং মামলায় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বন্দর খেয়াঘাটে মারামারি ঘটনায় বন্দরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি ৫৯৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৯৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরোও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টম্বর) রাতে বন্দরের বেপারীপাড়া এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে বন্দর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন । পুলিশ এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
১১(৮)২৪ নং মামলার আসামীরা হলো, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম , জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মাসুম, আওয়ামীলীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন , নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মৃধা , আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল হাসান মৃধা, মাহবুবুর রহমান কমল, আরাফাত কবির ফাহিম, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান, আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খোকন, সাচ্চু মিয়া , আমির হোসেন, কাজী শহীদ, মুরগী শাহ আলম, ডা.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ ন ত আওয় ম ল গ র এল ক র ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রূপায়ণ টাউনে চাঁদার অভিযোগ করতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলো আজমেরীর ক্যাডার রাজ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড়ে চাঁদাবাজি অভিযোগ করতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলেন আজমেরী ওসমানের ক্যাডার এম এ হুসাইন রাজ। তথ্যমতে, বিগত আওয়ামী শাসনামলে ওসমান পরিবার শীর্ষ ক্যাডার আজমেরী ওসমানের ক্যাশিয়ার গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিল।
গত জানুয়ারি ২০২৫ এ উক্ত ব্যক্তি রূপায়ণ টাউনে এম এ হুসাইন রাজের সেলটারে তার ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান নেয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সে খবর জানাজানি হলে রাজ কৌশলে উক্ত ভাড়াটিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এরো পূর্বে উক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে কাজ করে দেয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নেয়।
সে সকল পাওনাদাররা উক্ত ব্যক্তির তথ্য পেয়ে তার বাড়ি মালামাল আটকাতে চাইলে তাতেও বাধা প্রদান করে রাজ। এরূপ পরিস্থিতিতে লিটন সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে এর সমাধানের চেষ্টা করা হলে রাজের সাথে লিটনের কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় রাজ তাদের দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে।
ঘটনা তদন্তে জানা যায়, বিগত আওয়ামী শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজামসহ মেম্বার আল মামুন মিন্টু যুবলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ জুলহাসসহ তাদের পালিত বাহিনী রূপায়ণ টাউন নিয়ন্ত্রণ করত এবং তাদের নেতৃত্বে রূপায়ণ ভুইঘর মামুদপুর সহ আশেপাশের এলাকায় মাদক বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো।
অবৈধ কাজের থেকে অর্জিত টাকার একটি ভাগও পেতো রাজ। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলে খোলস পাল্টে এখন ছাত্র সমন্বয়ক সাজার চেষ্টায় এবং পুনরায় রূপায়ণকে নিজের কব্জা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় রাজ লিপ্ত। এছাড়াও রাজএর রূপায়নের অফিসে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বাধা প্রদান করাতেই সে লিটন সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে থানায় একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য গত ২৩ জুলাই লিটনকে নাশকতার মামলায় ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয় এবং ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ৬ আগষ্ট মুক্তি পান লিটন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাজিদুল ইসলাম জানান, ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন সাজসহ আশেপাশের লোকজনের দেয়া তথ্য মতে অভিযোগের উল্লেখিত তথ্য ও মিথ্যা বলে জানান স্থানীয়রা।
সেই সাথে সাজ্জাদ ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এধরনের কোন তথ্য বা অভিযোগের সম্পর্কে কেউ কোনরূপ সত্যতার প্রমাণ দিতে পারবে না তাছাড়া লিটন বা নিজ নাম সহ অন্যান্যদের নামে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও এই ধরনের কোন অভিযোগ নাই বলে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেন সাজ।
স্থানীয়রা জানান, তোফায়েল হোসেন লিটন অত্যন্ত ভদ্র, সামাজিক ও অর্থবিত্ত সম্পন্ন সম্ভ্রান্ত লোক। তার নামে এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ এবং চাঁদাবাজির মত নোংরা ঘটনা একেবারেই অসম্ভব। এই ধরনের নোংরা ও অপবাদ মূলক অভিযোগের নিন্দা জানার স্থানীয়রা।