নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এক বছর পর মঞ্চে গাইতে উঠেছিলেন। গত ৩১ জানুয়ারি গাইতে গিয়ে মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসক গুণী এ শিল্পীকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থবোধ করায় আবারও গানে ফিরেছেন সাবিনা ইয়াসমিন।

সম্প্রতি রাজধানীর এক স্টুডিওতে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। একক নয়, কোরাস গানটিতে তাঁর সহশিল্পী আরেক বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন শওকত আলী ইমন। একই গানে এ প্রজন্মের আরও দশজন শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন গানটিতে। জানা গেছে, গানটি আসছে ঈদের জনপ্রিয় একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে প্রচার হবে।  
দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় গানের বাইরে ছিলেন এই সাবিনা ইয়াসমিন । ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন: আমি আছি থাকব’ অনুষ্ঠানে গান গাইতে মঞ্চে উঠেছিলেন। সোয়া এক ঘণ্টা তিনি মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানের একটি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতে তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ভোরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে আবার তাঁকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিন দিন। বাসায় ফিরেই বিশ্রামে ছিলেন কয়েকদিন। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাদের হালুয়া রুটি

শবে বরাতে হালুয়া রুটি না হলে ঠিক জমে না। রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য বুট, গাজর কিংবা পছন্দের যেকোনো হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

বুটের হালুয়া
উপকরণ: বুটের ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, ঘি ১ কাপ, হলুদ রং সামান্য, তেজপাতা ২ পিস, পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: বুটের ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি বেশি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল মিহি করে বেটে নিন। কড়াইতে ঘি, চিনি, এলাচ, দারচিনি, বুটের ডাল বাটা, তেজপাতা দিয়ে নেড়ে রেখে দিন ১-২ ঘণ্টা। পরে চুলায় কড়াই বসিয়ে রান্না করুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে এলাচ ও দারচিনি, তেজপাতা ফেলে দিন। নাড়তে নাড়তে কড়াই থেকে হালুয়া ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার হাতে ঘি মাখিয়ে কমলার মতো বানিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বুটের ডালের হালুয়া।

চালের রুটি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কেজি, লবণ স্বাদমতো, পানি ৫ কাপ। 
প্রণালি: পানি ও লবণ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। পরে চালের গুঁড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে হাত দিয়ে গরম গরম মাখিয়ে নিন। গোল তৈরি করে পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুটির মাপে লেচি কেটে রুটি বানিয়ে নিন। এবার রুটি ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল চালের রুটি। 

নারকেলের সন্দেশ
উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,  চিনা বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লাল চেরি প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: নারকেল কোরানোর সঙ্গে গুঁড়া দুধ, বাদাম গুঁড়া ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে মাখিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে মাখানো নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়ুন। কড়াই থেকে নারকেল ছেড়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করে সন্দেশের ছাঁচে বসিয়ে তৈরি করে ফেলুন নারকেলের সন্দেশ। এবার লাল চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন।

গাজরের হালুয়া
উপকরণ: গাজর ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, ঘি ও গুঁড়া দুধ আধা কাপ, পানের বোঁটা সাজানোর জন্য, পেস্তা বাদাম কুচি সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালি: গাজরের খোসা ফেলে ধুয়ে গ্রেট কার নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে গাজর, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। হয়ে এলে গুঁড়া দুধ ও কাঠবাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হলে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে হালুয়া গাজরের শেপ তৈরি করুন। শেষে পানের বোঁটা দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল গাজরের হালুয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ