জ্যোতিদের কোচের দায়িত্বে সারোয়ার ইমরান
Published: 11th, February 2025 GMT
চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সর দাঁড়ালেন হাসান তিলকারত্নে। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন অভিজ্ঞ বাংলাদেশ কোচ সারোয়ার ইমরান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘‘হাসান (তিলকারত্নে) চলে যাওয়ার পরে এই পদটি শূন্য হওয়ায় আমরা ইমরানকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
দেশিয় কোচদের সুযোগ দিয়ে দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে চান ফারুক। সেটাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে জাতীয় দলের স্থানীয় কোচদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করব। ইমরানের নিয়োগটি সেই অঙ্গীকারের একটি অংশ।’’
আরো পড়ুন:
চেনা ছন্দে নাহিদ
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শোহেলি আক্তারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ কোচদের একজন সারোয়ার ইমরান। তার সামনে অপেক্ষা করছে নতুন চ্যালেঞ্জ। সামনেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে তাকে।
বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ হেরে সুযোগটি হারান জ্যোতিরা। ফলে সামনে বাছাইপর্বের বাধা। সেটা পেরোনোর লক্ষ্যেই মেয়েদের নিয়ে মাঠে নামবেন ইমরান।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের অভিষেকের সময় বাংলাদেশ পুরুষদের দলের প্রধান কোচ ছিলেন ইমরান। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। এবার তার লক্ষ্য জাতীয় নারী দলকেও সাফল্য এনে দেওয়া।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক