ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ওসি, আ.লীগ ও বিএনপি নেতা, মিশ্র প্রতিক্রিয়া
Published: 11th, February 2025 GMT
ইন্টারনেটে আপলোড হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে সবাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত। প্রত্যেকের বুকে লাগানো লাল-হলুদ-সবুজ ফিতা দিয়ে বানানো ‘অতিথি ব্যাচ’। অনুষ্ঠানে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন থানার ওসি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা।
গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের জে. কে পোল্লাডাঙ্গা এলাকার খেলার মাঠে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা প্রতিক্রিয়া।
অনুষ্ঠানটি ছিল ‘স্বর্ণ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধন। এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রতিবছর স্থানীয়ভাবে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করায় সববয়সী মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করার ইঙ্গিত দিয়ে আয়োজকদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করছেন।
আরো পড়ুন:
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতেই হবে: দুলু
মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস, আরো ৫ বিএনপি নেতা কারামুক্ত
ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন যুবদল নেতা সামিরুল ইসলাম গাজী। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘খেলা মানেই আনন্দ। দলমত নির্বিশেষে এ টুর্নামেন্ট সফল করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এখন কোনো দলীয় সরকার ক্ষমতায় নেই। অন্তর্বর্তী সরকার আছে। তাই খেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।’’
এ মঞ্চে ভোলাহাট থানার ওসি শাহিনুর রহমান প্রতিযোগিতার পক্ষে সাফাই গেয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন।
এ প্রতিযোগিতার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখান। মুনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ টুর্নামেন্ট কমিটিকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে তোমরা খেলাটাকে পরিচালনা করছ।’’ তবে শাহজামাল খান স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘ভোলাহাটেও তাহলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হলো। কাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাব সেটাই চিন্তায় পড়ে গেলাম। উনাদের, না পুনর্বাসনকারীদের?’’
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েকজন নেতার মোবাইল নম্বরে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ভোলাহাট থানার ওসি শাহিনুর রহমানের ব্যবহৃত নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মেহেদী/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ র রহম ন উপস থ ত আওয় ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত।
স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।