ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিন নারীসহ ১৪ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পৃথক অভিযানে ৭২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শ্যামকুড়, পলিয়ানপুর, কুসুমপুর এবং লড়াইঘাট বিওপির বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী ১৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছেন। নিমতলা বিওপির বিজিবি সদস্যরা অপর এক অভিযানে ৭২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছেন।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানিয়েছেন, বিজিবির হাতে আটক ১৪ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে আটকদের পরিচয় পরে জানানো হবে।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশ বিজ্ঞানে শিশু-কিশোরদের সাফল্য

রহস্যময় মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তোলার উদ্দেশ্যে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কিডস স্পেস ক্যাম্প উদযাপন করে।
রাজধানীতে অবস্থিত আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) স্পেস ক্যাম্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সারাদেশের ৮৫টি স্কুলের শিশু-কিশোররা এতে অংশ নেয়। মহাকাশ প্রযুক্তি, রোবটিকস, রকেট সায়েন্স ও অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণের মতো ভিন্নধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা গ্রহণ করে। অভিজ্ঞ মিশন কন্ট্রোলারদের সহযোগিতায় শিশু-কিশোররা মডেল রকেট তৈরি ও উৎক্ষেপণ, স্পেস রোবট তৈরি ও প্রোগ্রামিং, টেলিস্কোপ তৈরি ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, মঙ্গল ও চাঁদের জন্য কলনি ডিজাইন, ভিআর বেইসড অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণ ছিল অন্যতম। শিশু-কিশোরদের টিম মার্স কলোনি তৈরির সঙ্গে নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (এআইইউবি) ও বোর্ড অব ট্রাস্টির ভাইস চেয়ারম্যান ড. হাসানুল এ হাসান বলেন, আমাদের দেশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, শিশু-কিশোররা আজকের কর্মশালায় যে ধরনের কাযক্রম করেছে, তা তাদের সৃজনশীলতা ও কৌতূহলকে উৎসাহিত করবে। এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও মহাকাশ গবেষক তৈরিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার বলেন, স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে শিশু-কিশোররা মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোট বয়স থেকেই তাদের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বিজ্ঞানী, গবেষক ও নভোচারী। তারা এখানে নতুন কিছু শেখা, আবিষ্কার ও নিজেদের কল্পনাশক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের সভাপতি বলেন, আগামী দিনে শিশু-কিশোরদের জন্য আরও নিত্যনতুন উদ্যোগ নিয়ে আসা, যাতে তারা শিখতে পারে, আবিষ্কার করতে পারে ও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারে– এটাই উদ্যোগের লক্ষ্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ