রাজবাড়ীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আলীপুর ইউনিয়নের নতুন রাস্তা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে ।

নিহত সেনা সদ‌স্যের নাম মো. আজিজুল বেপারী (৩২)। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার কালীচরণপুর গ্রামের মোস্তফা বেপারীর ছেলে। তিনি সিলেট সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কে ঝরল নারীর প্রাণ

বরগুনায় বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

নিহতের চাচাতো ভাই আসাদ ব‌লেন, “আজিজুল দুই মাসের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তার সিলেট ফেরার কথা ছিল। আজ বিকেলে আজিজুল তার বন্ধু নয়নকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রাজবাড়ী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আ‌জিজুল, নয়ন ও অপর মোটরসাই‌কেলের আ‌রোহী হাসান‌কে রাজবাড়ী হাসপাতা‌লে যাওয়া হয়। সেখানে চি‌কিৎসক আ‌জিজুল‌কে মৃত ঘোষণা ক‌রেন।”

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজীব দে সরকার বলেন, “দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে আজিজুল হাসপাতা‌লে আনার আ‌গেই মারা যান। মোটরসাই‌কেল আ‌রোহী নয়ন ও হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

রাজবাড়ী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রবিউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত ম টরস ই স ঘর ষ আজ জ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ

উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।

বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র‌্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ