অপারেশন ডেভিল হান্ট, লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার ১১
Published: 11th, February 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে চার, রায়পুরে দুই, রামগঞ্জে তিন ও রামগতিতে দুজন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদরে আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান সোহেল, যুবলীগ নেতা আবদুল মালেক, সাইফুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম, রায়পুরের আওয়ামী লীগ নেতা তছলিম উদ্দিন, ওমর ফারুক, রামগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান টিটু, চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মানিক হোসেন, রামগতিতে যুবলীগ নেতা মো.
পুলিশ সুপার জানান, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, “সারা দেশে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।”
ঢাকা/লিটন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশ বিজ্ঞানে শিশু-কিশোরদের সাফল্য
রহস্যময় মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তোলার উদ্দেশ্যে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কিডস স্পেস ক্যাম্প উদযাপন করে।
রাজধানীতে অবস্থিত আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) স্পেস ক্যাম্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সারাদেশের ৮৫টি স্কুলের শিশু-কিশোররা এতে অংশ নেয়। মহাকাশ প্রযুক্তি, রোবটিকস, রকেট সায়েন্স ও অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণের মতো ভিন্নধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা গ্রহণ করে। অভিজ্ঞ মিশন কন্ট্রোলারদের সহযোগিতায় শিশু-কিশোররা মডেল রকেট তৈরি ও উৎক্ষেপণ, স্পেস রোবট তৈরি ও প্রোগ্রামিং, টেলিস্কোপ তৈরি ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, মঙ্গল ও চাঁদের জন্য কলনি ডিজাইন, ভিআর বেইসড অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণ ছিল অন্যতম। শিশু-কিশোরদের টিম মার্স কলোনি তৈরির সঙ্গে নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (এআইইউবি) ও বোর্ড অব ট্রাস্টির ভাইস চেয়ারম্যান ড. হাসানুল এ হাসান বলেন, আমাদের দেশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, শিশু-কিশোররা আজকের কর্মশালায় যে ধরনের কাযক্রম করেছে, তা তাদের সৃজনশীলতা ও কৌতূহলকে উৎসাহিত করবে। এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও মহাকাশ গবেষক তৈরিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার বলেন, স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে শিশু-কিশোররা মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোট বয়স থেকেই তাদের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বিজ্ঞানী, গবেষক ও নভোচারী। তারা এখানে নতুন কিছু শেখা, আবিষ্কার ও নিজেদের কল্পনাশক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের সভাপতি বলেন, আগামী দিনে শিশু-কিশোরদের জন্য আরও নিত্যনতুন উদ্যোগ নিয়ে আসা, যাতে তারা শিখতে পারে, আবিষ্কার করতে পারে ও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারে– এটাই উদ্যোগের লক্ষ্য।