সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে মো. রাফি (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী। পরে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যু রাফির বাবা আনিসুর পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক; মা সেলিনা এনজিওতে চাকরি করেন। মায়ের চাকরির সুবাদে রাফি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে থাকত। রাফি খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের আনিছুর রহমান ও সেলিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

জয়নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওহাব জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে রাফি কোচিংয়ের ক্লাস করছিল। সেখানে সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে অফিসকক্ষে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্কুলের শিক্ষক তাজুন নাহার বলেন, “কোচিং করার সময় মাথা ব্যথা করছে বলে জানিয়েছিল রাফি। তখন আমরা তাকে আলাদা করে বসিয়ে রাখি এবং মুঠোফোনে রাফির মাকে বিষয়টি জানাই। তার মা একটা ভ্যানে করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলেন। কিছুক্ষণ পর রাফি একবার বমি করে অচেতন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকির হোসেন বলেন, “রাফি নামে এক স্কুলছাত্রকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।”

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, “হাসপাতাল থেকে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছিল। তবে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য মনগর চ ক ৎসক উপজ ল ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

'ডেভিল হান্ট' অভিযানে সুন্দরবনের দস্যুদের দুই সহযোগীসহ মোংলায় পাঁচজন আটক

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে পরিচালিত বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী সুন্দরবনের দস্যুদের দুই সহযোগীসহ মোংলায় পাঁচজনকে আটক করেছে। কোস্টগার্ড ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

রোববার রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার চকবারা বাজার এলাকা থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা একটি অবৈধ দেশীয় একনালা পাইপ গান ও ১৬টি দেশীয় অস্ত্রসহ আব্দুল হাকিম গাজী (৬৮) ও হাফিজুর রহমান (২৫)-কে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, তারা সুন্দরবনের ডাকাতদের সহযোগিতা করতো।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহম্মেদ জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা সুন্দরবনের দস্যুদের সহায়তা করতো এবং তারা সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার চকবারা গ্রামের বাসিন্দা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্টগার্ডের ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান চলমান থাকবে।

অন্যদিকে সোমবার ভোর রাতে মোংলার চাঁদপাই এলাকা থেকে পুলিশ আরও তিনজনকে আটক করে। তারা হলেন দুলাল ফকির (৪০), আমজাদ মোড়ল (৪২) ও মো. হেলাল (৩০)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিরা স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকায় দস্যুতার বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরায় শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু
  • 'ডেভিল হান্ট' অভিযানে সুন্দরবনের দস্যুদের দুই সহযোগীসহ মোংলায় পাঁচজন আটক
  • দুর্ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও