সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন ব্যক্ত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অশুভ শক্তির কোনো কার্যক্রম এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দেবে না বিএনপি। ইউনূস সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বিএনপি।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুগদায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, এখন সংস্কার সংস্কার বলে একদল লোক পাগল হয়ে যাচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে সংস্কার হয় না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যা করার করে ফেলেন। একটু তাড়াতাড়ি করেন। ঘোষণা দিয়ে দেরি করতে হয় না। যদি কারো চক্রান্ত না থাকে তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

কোনো ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ করে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো সভ্য ভালো লোক করে না। শয়তান লোক করে। সকল প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের লোক আছে। তাদেরকে ধরুন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ভাবসাব এমন, নির্বাচন আসলে শুধু বিএনপিই নির্বাচনে যাবে, আর কেউ যাবে না। নির্বাচন এলে নাকে খত দিয়ে আসবেন, কারণ বিএনপি নির্বাচনের কথা বলেছে।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের নামে মামলা এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

সমাবেশে কুয়েটের ২০১৪–১৫ সেশনের যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাইনুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মনে করেন উপাচার্য তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি–সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে তিনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেনাবাহিনীকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন যখন আরও জোরালো হলো, ছাত্রছাত্রীরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানালেন, তখন উপাচার্য ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিলেন। এরপরেও শিক্ষার্থীরা যখন থাকার চেষ্টা করলেন, তিনি তখন হলের বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করে দিলেন, ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যান।

কুয়েটের এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী জিহাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। ভিসি যেই কাজ করেছেন, এরপর আর তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। তিনি সেই নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।’

আরও পড়ুন৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত২১ ঘণ্টা আগে

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘যারা ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদল সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেলো, রক্তাক্ত হলো, মিথ্যা বানোয়াট মামলা খেলো, তাদেরকেই এখন বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে বেশির ভাগই হামলার শিকার হয়েছিলেন।’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা করেন নগরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোচেন আলী নামের এক ব্যক্তি।

মামলার পরপরই ১৩ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনকুয়েটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ি
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ