চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটারেজ জাহাজের সংকট নিরসনে নারায়ণগঞ্জে অভিযান অব্যাহত
Published: 11th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটারেজ জাহাজের সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টা অবধি নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কাঁচপুর ব্রিজ এলাকা থেকে রূপসী গাজী সেতু পর্যন্ত এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করেন।
এসময় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিট্রা) নাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে নদীর দুই তীরে মালামাল খালাসরত আনুমানিক পঞ্চাশটি জাহাজ পরিদর্শন করা হয়া। এবং তাদের দ্রুত মাল খালাস করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৪ টি নৌযানকে সর্বমোট ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে যাওয়া বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে খাদ্যপণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে অসংখ্য মাদার ভেসেল। লাইটারেজ জাহাজের সংকটে সেখান থেকে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না।
এতে করে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের কৃত্রিম খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে নোঙ্গর করা জাহাজ গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানকালে দেখা যায় নানাবিধ কারণে অনেক লাইটারেজ কার্গো জাহাজ খাদ্যপণ্য নিয়ে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ^রী ও মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমান অবস্থায় রয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন কার্গো জাহাজ পরিদর্শন এবং জাহাজের মাস্টার ড্রাইভার সুকানী, লোড-আনলোডের শ্রমিক ও ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলেন। মাল গুলো দ্রুত খালাস শেষে চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ল ইট র জ
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জের ৫ উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ শিশু খাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ জন শিশুকে শনিবার (১৫ মার্চ) খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক ওরিয়েন্টন সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ. ফ ম. মুশিউর রহমান জানান, জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ২৪৯ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯৮ হাজার ২১২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এছাড়া শিশুকে জন্মের ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ন হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হইবে।
অত্র জেলায় (সিটি করপোরেশন ব্যতিত) স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি পালনের জন্য সর্বস্তরের জনগোষ্ঠিকে অবহিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে সর্বত্র মাইকে প্রচারনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিবসটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেছেন।
জেলা তথ্য বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচারনা অব্যাহত আছে। এছাড়াও জেলার মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে জানানোর জন্য ইমামদের প্রতি নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে।
যেসব এলাকায় শিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ইটভাটা, বেদেপল্লী, পথশিশু, চর এলাকা, এতিমখানা, বস্তিসহ অন্যান্য দুর্গম এলাকাগুলোতে ক্যাম্পেইনের পরবর্তী ৪ দিন অনুসন্ধান চালানো হবে।
কোন শিশু যদি ক্যাম্পেইনের দিন বাদ পড়ে যায় তাহলে পরেও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খেতে পারবে।
জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম মেহেদী হাসান।
সভায় অন্যান্যদের আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. মোরশেদুল ইসলাম খান, ডা. নাসিরুল হক, স্টোর কিপার ইব্রাহীম খান, শওকত জামান, পরিসংখ্যানবিদ মো. সাইফুল সালমান প্রমূখ।