পাহাড়ের ক্রীড়াঙ্গনকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে: সন্তু লারমা
Published: 11th, February 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, দেশে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে তেমনটা নেই। পাহাড়ের ক্রীড়াঙ্গনকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটিতে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষে ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এ কথা বলেন।
রাঙামাটি শহরের চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এই ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিল। আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্তু লারমা। সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিমল চাকমা।
সন্তু লারমা বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে পার্বত্য পরিষদ আইন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর মধ্যে ক্রীড়া বিভাগ এখনো জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রীড়াক্ষেত্রে অনেক কিছু করার জায়গা রয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছে কোনো গুরুত্ব নেই। এ কারণে প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা এগিয়ে যেতে পারছেন না। অনেক সীমাবদ্ধতার পরও পার্বত্য অঞ্চলের অনেক তরুণ-তরুণী দেশে ও দেশের বাইরে অবদান রাখছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত।
স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।