সুনামগঞ্জে মেলার মাঠে উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো বন্ধ হয়েছে
Published: 11th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় ক্রীড়া সংস্থার খেলার মাঠে চলা বাণিজ্য মেলায় উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশপাশের এলাকার মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, এ জন্য আয়োজকদের উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল বলেন, মেলার অনুমতির শর্তেই উল্লেখ আছে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না। মাইকের উচ্চ শব্দের বিষয়টি এলাকাবাসী জেলা প্রশাসনকে জানানোর পর আয়োজকদের মাইক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শহরের ষোলঘর খেলার মাঠে এক মাস ধরে বাণিজ্য মেলা চলছে। মাঠের চারপাশে আবাসিক এলাকা, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় শুরু থেকেই মেলার জন্য মাঠ বরাদ্দ না দেওয়ার দাবি ছিল এলাকাবাসীর। এ ছাড়া মেলার মাইকের উচ্চ শব্দ এবং গানবাজনায় অতিষ্ঠ ছিলেন মানুষ। এ নিয়ে সোমবার ‘খেলার মাঠে এক মাস ধরে চলছে বাণিজ্য মেলা, মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ’ শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এলাকাবাসী বলছেন, এই মাঠের চারপাশে আবাসিক এলাকা। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও আছে। এখানে মেলা আয়োজনের নামে মাইক দিয়ে উচ্চ শব্দে গানবাজনায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে। অসুস্থ লোকজন পড়েছেন বেশি বিপাকে।
আরও পড়ুনখেলার মাঠে এক মাস ধরে চলছে বাণিজ্য মেলা, মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদোত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।”
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের র্যালিতে সব জাতিগোষ্ঠী একসাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসাথে আনন্দ করছে। এটা একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।”
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। বাংলা নববর্ষ আমরা উদ্যাপন করবো জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করতে হবে।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
ঢাকা/এএএম/টিপু