খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের সাবেক ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিন হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক নেতারা। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে শেখ বেলাল উদ্দিনের ২০তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ দাবি জানানো হয। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক।

এতে বক্তারা বলেন, শেখ বেলাল উদ্দিন ছিলেন নির্ভীক সাংবাদিক। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। সভায় বক্তারা বেলাল উদ্দিনের হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

আরো পড়ুন:

স্বামীকে হত্যা, প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

পাবনায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন, স্বামী গ্রেপ্তার 

প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল ও নির্বাহী সদস্য আশরাফুল ইসলাম নূরের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন খুলনার উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর, প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন প্রমুখ। পরে শেখ বেলাল উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

২০০৫ সালের ৫ ফেব্র্রুয়ারি খুলনা প্রেস ক্লাব চত্বরে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ বেলাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন। এরপর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের মার খেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর বিষপান, বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকেরা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কৃষিজমিতে কাজ না করায় এক শিক্ষক এক শিক্ষার্থীকে বকাঝকা ও মারধর করেছিলেন। এরপর ক্ষোভে বিষ পান করে ওই শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহ পর আজ মঙ্গলবার ভোরে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর চাচা থানায় মামলা করলে আজ দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ ফোরকান (১৭)। সে বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বদিউল আলমের ছেলে। ফোরকান দুই বছর ধরে মাদ্রাসাটির শর্টকোর্স বিভাগে পড়াশোনা করছিল বলে জানা গেছে। আর গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৩২) কক্সবাজার জেলায় কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে মাদ্রাসা আরবিয়া খাইরিয়ার শিক্ষক তিনি।

নিহত ফোরকানের চাচার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার সময় মাদ্রাসার পাশের একটি জমিতে কৃষিকাজ না করায় মোহাম্মদ ফোরকানকে মারধর ও বকাঝকা করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই ক্ষোভে ফোরকান জমির জন্য আনা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার পর শিক্ষার্থীর পরিবার ফোরকানকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। আজ ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ