যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলনের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা থেকে খনি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে বলে জানান মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডি.এম. জোবাইয়ের হোসেন।

শ্রমিকরা জানান, হঠাৎ করেই ভূগর্ভের পাথর তোলার স্কিপ্ট মেশিনের গিয়ার বক্সের বিয়ারিং ভেঙে যায়। ফলে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

এমডি প্রকৌশলী ডি.

এম. জোবাইয়ের হোসেন বলেন, “ট্যাকনিকাল কারণে আজ ভোর ৫টা থেকে খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি বিশেজ্ঞরা দেখছেন। আশা করছি, দ্রুতই খনিটি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হবে।”

খনি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে খনি থেকে পাথর ‍উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। একমাস পর আবারো পাথর উত্তোলন শুরু হয়।

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন: আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় কমল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় কমানো হয়েছে। আগে আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ছয় সপ্তাহ সময় পেতেন। এখন তা কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে। দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য এই সময় কমানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩-এর সংশোধনীতে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই আইনের নাম সংশোধন করে রাখা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এই আইনে দুবার সংশোধনী আনল। প্রথম সংশোধনী এনে গেজেট প্রকাশ করা হয় গত ২৪ নভেম্বর। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় সংশোধনী এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

আইনের সর্বশেষ সংশোধনী বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তিনি বলেন, দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করার জন্য আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় ছয় সপ্তাহ থেকে কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে।

এই আইনে আরও বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এসব বিষয়েও কথা বলেছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তিনি বলেন, আগে তল্লাশি ও জব্দ করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তার ট্রাইব্যুনালের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হতো। নতুন সংশোধনীতে এই বিধান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে প্রয়োজনে যেকোনো কিছু জব্দ ও তল্লাশি করতে পারবেন। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করার জন্য দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতেও পারবেন।

প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, সর্বশেষ সংশোধনী এনে বিচার চলাকালে আসামির সম্পত্তি যেন জব্দ করে রাখা যায় বা সেটি ট্রাইব্যুনাল তাঁর অধীনে নিতে পারেন, সেই এখতিয়ার ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আসামিদের বিদেশযাত্রার ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ