আইইউবিএটির ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
Published: 11th, February 2025 GMT
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
সমাবর্তনে ১ হাজার ৪১২ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য তিনজন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে ‘মিয়ান স্বর্ণপদক’ দেওয়া হয়। রিয়ানা আজাদ (বিসিএসই) স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান অর্জন করে মর্যাদাপূর্ণ আলিমউল্লাহ মিয়ান পুরস্কার লাভ করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভাপতির বক্তব্যে আইইউবিএটির গবেষণা, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং এবং টেকসই শিক্ষা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের অধ্যাপক ট্যামসিন ব্র্যাডলি। তিনি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একাডেমিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। আইইউবিএটি ও ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের মধ্যে চলমান সহযোগিতারও প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুর রব। সমাপনী বক্তব্যে আইইউবিএটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক এম আলিমউল্লাহ মিয়ান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) পরিচালক ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা উন্নত করবে আইইউবি শিক্ষার্থীর এআই মডেল
ঢাকার বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা আরও উন্নত করতে এবং লোডশেডিং কমাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি পূর্বাভাস মডেল তৈরি করেছেন হালিমা হক। তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ট্রিপল-ই) বিভাগের শিক্ষার্থী।
এই মডেল ঢাকার বিদ্যুৎ–চাহিদার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম, যা বিশেষ করে গ্রীষ্মের তীব্র চাহিদার সময় সঠিকভাবে বিদ্যুৎ বণ্টন নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। ফলে লোডশেডিং কমানো এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সহজ হবে।
হালিমার গবেষণাটি আইইউবির ট্রিপল-ই বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে। এতে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) থেকে সংগৃহীত ৬৫ লাখের বেশি তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প খাতের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ধরন বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যেখানে আবহাওয়া, বিদ্যুৎ ব্যবহারের ধরন ও শুল্ককাঠামোর মতো বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থী হালিমা হক বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। যদি আমরা সঠিকভাবে পূর্বাভাস দিতে পারি, তাহলে বিদ্যুৎ বিতরণ আরও কার্যকর করা যাবে, লোডশেডিং কমানো সম্ভব হবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবস্থাপনাও ভালোভাবে করা যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এই প্রযুক্তি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ও নীতিনির্ধারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও স্থিতিশীল ও টেকসই হয়।’
গবেষণায় পাঁচটি মেশিন লার্নিং মডেল পরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলো হলো কে-নিয়ারেস্ট নেইবার্স, র্যান্ডম ফরেস্ট, লাইট গ্রেডিয়েন্ট বুস্টিং মডেল, এক্সট্রিম গ্রেডিয়েন্ট বুস্টিং এবং মাল্টিপল লিনিয়ার রিগ্রেশন। গবেষণাটি ইতিমধ্যে মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইট্রিপলই কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বিশ্বখ্যাত আইট্রিপলই ট্রানজ্যাকশন অন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাপ্লিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ–ব্যবস্থাকে আধুনিক ও টেকসই করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা। মেশিন লার্নিং আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে, যার মাধ্যম আরও কার্যকর নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হবে। ফলে লোডশেডিং কমবে এবং টেকসই নগরপরিকল্পনার পথ সুগম হবে।’