সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রত্যয় নিয়ে এক দশক পার করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বশেমুরবিপ্রবিসাস)।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নানা আয়োজনে ১০ম প্রতিষ্ঠাবাৰ্ষিকী উদযাপন করেছে এ সমিতিটি।

এ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. সোহেল হাসানের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মো বদরুল ইসলাম প্রমুখ।

র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে কেক কাটা হয়। এছাড়াও সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহ মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অর্জন ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সাংবাদিক সমিতি।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করার কারণে বারবার বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সব বাঁধা মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে এ সমিতি।”

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, “সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তোমাদের সবার শুভকামনা রইল। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।”

উপাচার্য ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করবে, এ আশা করি।”

২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখে চলেছে সংগঠনটি।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হোলি উৎসবে রঙ ও লাঠি নাচে মেতেছেন চা শ্রমিকরা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি। হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা নেচে-গেয়ে ও রঙ ছিটিয়ে হোলি উৎসব উদযাপন করছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে রোববার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত। 

চা বাগানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব বয়সী শ্রমিকরা এ হোলি উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। তবে, শিশুদের মধ্যে উৎসাহ বেশি দেখা গেছে। 

চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বোতলে রঙ ভরে নিয়ে হোলি খেলায় মেতেছেন। তার সঙ্গে চলছে লাঠি নিয়ে নাচ ও গান। প্রথমে রঙ ছিটানো হয় ও পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি নিয়ে নাচ করা হয়। এক জনকে গান গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে মাদল বাজাচ্ছেন আরেকজন। 

দেউন্দি চা বাগানের প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, হোলি হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি।

তিনি বলেন, চৈত্র মাসে দোল উৎসব উপলক্ষে লাঠি নাচ ও গান হয়। লাঠি নাচের বিভিন্ন ধরন আছে, সেগুলো হলো—পিঠজোড়নি, সন্ধিবেঠ, তিন ডাড়িয়া, ছেটরা, রেখনি প্রভৃতি। 

সুনীল বিশ্বাস জানান, হোলি উপলক্ষে চা বাগানে চলছে তিন দিনের ছুটি। এই দিন ধরেই হবে হোলি উৎসব। শুধু তাই নয়, পুরো চৈত্র মাস ধরে চলে দোল পূর্ণিমার আনন্দ।

চা বাগানের বাসিন্দা আমোদ মাল বলেন, বাগানের শ্রমিকরা হোলি উৎসবে মেতে উঠেছে। দেউন্দি বাগানে প্রতি বছর গুরুত্ব সহকারে এ উৎসব উৎযাপন করা হয়ে থাকে। এ বছরও সেভাবেই হচ্ছে।

একইভাবে হোলি উৎসব চলছে চান্দপুর, চন্ডিছড়া, নালুয়া, আমু, লস্করপুর, চাকলাপুঞ্জি, রেমা, পারকুল, শ্রীবাড়ি, দেউন্দি, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, সুরমা, আমতলী, রশিদপুর, মধুপুরসহ জেলার ৪১টি চা বাগানে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদ উপলক্ষে বাটায় আকর্ষণীয় ছাড় ও অফার
  • বেনাপোল বন্দরে আজ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • আমিরের নতুন প্রেমিকা কে এই গৌরী
  • হোলি উৎসবে রঙ ও লাঠি নাচে মেতেছেন চা শ্রমিকরা
  • নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্প, অপেক্ষায় লাখো রোহিঙ্গা
  • যখন লক্ষণ প্রকাশ পায়, ততক্ষণে কিডনির ৬০-৮০ শতাংশ বিকল হয়ে যায়
  • গৌরীর সঙ্গে প্রেম করছেন আমির খান, স্বীকার করলেন নিজেই
  • মাহমুদউল্লাহর অবসর: বিসিবির কৃতজ্ঞতা, আইসিসির ভালোবাসা
  • রেশমের কাপড় বুনলেও ঈদে কেনা হয় না নতুন কাপড়
  • মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশের ‘বিশ্বকাপের সুপারস্টার’