রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে সোনারগাঁয়ে আলোচনা সভা
Published: 11th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নে বিএনপি'র উদ্যোগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষিত অবোহিত করন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠলেন লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর ইউনিয়নে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মো.
প্রধান বক্তা উপজেলা সহসাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হাজী জয়নাল মেম্বার।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক হান্নান বেপারি, প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু,উপজেলা বিএনপির সদস্য আলীনুর বেপারী, সোনারগাঁ উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সামাদ মেম্বার, আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল, ইয়াসিন, দুলাল, পিরোজপুর ৯ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসেম প্রধান, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি দপ্তর সম্পাদক হাসান, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আল আমিন,পিরোজপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি দেলোয়ার বেপারী,পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনার, আফসার, রিপন, সবুজ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, স্বৈরাচারী পলাতক শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছর রাষ্ট্র কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়ে সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ ও লুটপাট করে দেশের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। তা পুর্নগঠনের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
আরও বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ ঘোষণা করে বিএনপি।
এইসময় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুলের ইসলাম মান্নানের পক্ষে থেকে এক হাজার শীতার্ত পরিবারের মাঝে এ শীত বস্ত্র বিতরন করেন ও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যাবসার দখল ও ঝুট ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার জামগড়া চৌরাস্তা সংলগ্ন জামগড়া-বাগবাড়ি আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এতে কাপ্তান মিয়া (১৬) নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মো. ডালিমের ছেলে। স্থানীয় একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসাবে কর্মরত। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে শেখ আবু জাফর নামে আরেকজন আহত হন।
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক এইচ এম আসাফ উদ্দৌলা রিজভী বলেন, “আমাদের হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাপ্তান নামে এক কিশোরকে আনা হয়েছে। তার পিঠে গুলি লেগেছে, বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানায়, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার প্রীতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঝুট দীর্ঘ দিন ধরেই নিয়ে আসছিলেন আশুলিয়া থানা তাঁতীদলের সহসভাপতি বকুল ভুইয়া। তবে সম্প্রতি যুবদলের সাবেক নেতা শরীফ চৌধুরী কারখানাটির ঝুটের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শরীফ চৌধুরী ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বকুল ভুইয়ার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যাওয়ার সময় শরীফ চৌধুরীর লোকজন ঝুটের ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পাশাপাশি ট্রাকটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার এক কর্মকর্তা জানান, বকুল ভুইয়ার সঙ্গে কারখানার চুক্তি থাকলেও এই ঝুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো তার ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রনি ভুইয়া। সংঘর্ষ চলাকালে রনি ভুইয়ার লোকজনই উপস্থিত ছিল।
আশুলিয়া থানা তাঁতীদলের সহসভাপতি বকুল ভুইয়া বলেন, “কারখানার সঙ্গে আমার যাবতীয় চুক্তি রয়েছে। আজ সকালে শুনি শরীফ চৌধুরীর লোকজন কারখানার সামনে ঝামেলা করছে। পরে পুলিশকে জানালে তাদের সহযোগীতায় আমার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে বেরিয়ে যায়। পথে ঝুটের ট্রাক শরীফ চৌধুরীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে বাড়ির ছাদ থেকেই তারা গুলি করা শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রাকে আগুন দেয়। তাদের ছোড়া গুলিতে মঞ্জু নামে এক লেবারসহ আমাদের দুইজন লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।”
এ সময় রনি ভুইয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রনি তো গত তিন মাস যাবত এলাকাতেই নেই।”
প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাকিবুল বলেন, “আমাদের কারখানা প্রাঙ্গণে কোন ঝামেলা হয়নি। শুনেছি, কারখানার বাইরে ঝামেলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে বকুল ভুইয়া নামে একজনের ঝুটের চুক্তি রয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী তিনিই ঝুট নেন।”
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিনুর কবীর বলেন, “যতদূর জানতে পেরেছি আজ রনি ভুইয়ারা ঝুট নিয়ে যাওয়ার সময় শরীফ চৌধুরীর লোকজনের সাথে, তাদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। একজন গুলিবিদ্ধও আছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে কারা কারা এর সাথে জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
ঢাকা/সাব্বির/এস