অমর একুশে বইমেলায় সব্যসাচী নামের একটি স্টলে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই রাখাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানায় বাংলা একাডেমি।

কমিটিতে বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক ড.

মো. রবিউল ইসলাম, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি আবুল বাশার ফিরোজ শেখ, শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বাংলা একাডেমির প্রেস ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে।

আরো পড়ুন:

তসলিমা নাসরীনের বই নিয়ে বইমেলায় হট্টগোল

বৃত্তের বাইরের ভাবনায় বইমেলা 

তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ ঘটনা সংক্রান্ত ব্যাপারে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় সব্যসাচী নামের একটি স্টলে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রকাশনীর স্টলটিতে একদল যুবক হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর মেলার ১২৮ নম্বর স্টলটি বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম বইম ল বইম ল য় এক ড ম তদন ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ