ঝিনাইদহে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। ঝিনাইদহ সদর, শৈলকূপা ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ছাবের আলীর ছেলে কামাল শেখ, শৈলকূপার কৌপাড়া গ্রামের শহিদ বিশ্বাসের ছেলে সাইদ বিশ্বাস, একই উপজেলার সাতগাছি গ্রামের আমিন আলীর ছেলে মুকুল আহমেদ, কালীগঞ্জের খড়িকাডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে আতাউর রহমান ও একই উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ৪০

কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, গতকাল সোমবার রাত ও মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। তাদের আদালত সোপর্দ করা হবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মেরে আসামি ছিনতাই

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে দুই পুলিশকে মারধর করে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই পিযুষ সরকার ও কনস্টেবল রাজীব সিকদার আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেগুনবাড়ি সেতুর ঢালে জমিদার সিটি এলাকায় কালু বেপারীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বেগুনবাড়ি এলাকায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই পিযুষ সরকার দু’জন কনস্টেবল নিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আসিফ উল্লাহকে (২৫) গ্রেপ্তার করেন। এ সময় আসিফের ছোট ভাই মারুফ হোসেন পুলিশের কাছে এসে নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দেন। মারুফ পুলিশের কাছে ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চান। পুলিশ ওয়ারেন্টের কাগজ বের করে দেখালে মারুফ পুলিশের হাত থেকে ওয়ারেন্টের কাগজ নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। মারুফ ফোনে কল করে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনসহ ২০-২৫ জনকে জড়ো করেন। এ সময় তারা দুই পুলিশকে মারধর করে হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামি আসিফকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনা এসআই পিযুষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করেন। তাদের মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরি এলাকা থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামি আসিফ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মারুফসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সমন্বয়ক পরিচয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আসামির আত্মীয়-স্বজনরা পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছেন। সেখানে সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনতাই
  • সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মেরে আসামি ছিনতাই