কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কিছু প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এগুলোকে মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমান প্রতিনিধি বা এআই এজেন্ট বলা হচ্ছে। আর তাই সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের কাজ ভবিষ্যতে এআই এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যানও সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। তাঁর মতে, বর্তমানে কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা যেসব কাজ করেন, এআই এজেন্টও অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেসব কাজ করতে পারবে।

এক ব্লগ বার্তায় অল্টম্যান বলেন, এআই এজেন্ট শুধু মানুষের সহায়ক হিসেবেই কাজ করবে না, বরং ভার্চ্যুয়াল সহকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখবে। এআই দ্রুত শিখছে এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করছে। তবে এআই এজেন্ট নতুন বা মৌলিক ধারণা দিতে পারবে না। ফলে প্রতিষ্ঠানে দক্ষ প্রকৌশলীদের প্রয়োজন হবে।

অল্টম্যানের ধারণা, ভবিষ্যতে লাখ লাখ এআই এজেন্ট বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক পেশায় নিযুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন কল্পনা করুন, এক হাজার বা দশ লাখ এআই এজেন্ট একসঙ্গে কাজ করছে। এআইয়ের প্রভাব হবে অনেকটা ট্রানজিস্টরের মতো। ট্রানজিস্টর একসময় প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছিল, কিন্তু এখন তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এতটাই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে যে আমরা সেটি নিয়ে আর আলাদাভাবে ভাবি না।

এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে অল্টম্যান বলেন, এআইয়ের প্রসারের ফলে মূলধন ও শ্রমের ভারসাম্যে পরিবর্তন আসতে পারে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়াবে। আর তাই প্রাথমিক পর্যায়েই নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল পরিষেবা

স্মার্টফোনে বিক্রয়োত্তর সেবার প্রতিশ্রুতিতে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে কার্লকেয়ার ফ্ল্যাগশিপ সেবাকেন্দ্র চালু করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো।

আইটেল, টেকনো ও ইনফিনিক্স– তিনটি ব্র্যান্ডের নির্বাচিত বিক্রয়োত্তর সেবাদাতা কার্লকেয়ার বিশেষজ্ঞ কারিগর দ্বারা মেরামত (রিপেয়ার সেবা), সফটওয়্যার আপডেট ও প্রিমিয়াম পরিষেবা প্রদান করবে। সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, অত্যাধুনিক স্মার্টফোনের সঙ্গে মানোন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা (আফটার সেলস সার্ভিস) নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কার্লকেয়ার পরিচালিত নতুন ফ্ল্যাগশিপ সেবাকেন্দ্রে নির্ধারিত ব্র্যান্ডের গ্রাহক দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য গ্রাহকসেবা প্রতিশ্রুতির দৃশ্যমান প্রতিফলন।

কার্লকেয়ার বাংলাদেশের প্রধান মাহফুজুল হক মিরাজ বলেন, নতুন সেবাকেন্দ্রের সূচনা উপলক্ষে বিশেষ সুবিধা পাবেন গ্রাহক। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়ারেন্টি-বহির্ভূত ফোনের পরিষেবার ওপর থাকবে বিশেষ ছাড়। সঙ্গে থাকছে ফ্রি সার্ভিসিং, সফটওয়্যার আপডেট, মোবাইল ক্লিনিং সুবিধা গ্রহণের সুযোগ। নির্বাচিত গ্রাহক পাবেন বিশেষ উপহার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করলেন বিল গেটস
  • এআই হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন টিম ‘পরিধি’
  • ডিজিটাল পরিষেবা