যেই গতি তাকে দিয়েছিল পরিচিতি, সেই গতির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তার। টানা ম্যাচ খেলার প্রভাবে ক্লান্ত শরীরে পাওয়া যেত না পুরোনো তেজ। তাতে কমতে থাকে সাফল্যের সূচক।
বিপিএলে শুরুর নাহিদ রানার পারফরম্যান্স আর শেষের পারফরম্যান্সে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। শুরুর ৫ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে। গতি কমে যাওয়ায় আক্রমণের ধারও কমে যেতে থাকে। শরীরী ভাষায় ক্লান্তিভার ফুটে উঠে প্রবলভাবে। যদিও নাহিদ রানার দাবি ছিল, ‘‘শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও আমাকে ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে। তাদের সঙ্গে আমার কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।’’
যদিও ওই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়নি তার। টানা খেলার ওপর থাকা নাহিদ টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ওইভাবেই। টানা সাত ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচে বিরতি নিয়েছিলেন। ফিরে এসে খেলেন আবার পাঁচ ম্যাচ। তাতে কমতে থাকে তার বোলিং ধার।
আরো পড়ুন:
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শোহেলি আক্তারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০০২: দুইদিনেও হয়নি শিরোপার ফয়সালা
বিপিএলে তার পারফরম্যান্স উঠা-নামা চোখে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ফিল সিমন্সের। তবে আশার বিষয়, বিপিএল শেষে জাতীয় দলের অনুশীলনে ফিরে পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। নাহিদকে যেভাবে জাতীয় দলে পেয়েছিলেন সিমন্স সেভাবেই তাকে দেখেছেন সাম্প্রতিক সময়ে।
‘‘হ্যাঁ! (বিপিএলের) শেষ কয়েক ম্যাচে তাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির মনে হয়েছে। এমনকি শেষ দিকে এসে রান আপও তার স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল না। তবে তারা (রংপুর রাইডার্স) আগে বাদ পড়ে যাওয়ায় সে কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছে। বিশ্রাম নিয়ে আসায় তাকে গতকাল (রোববার) আবারও ধারালো মনে হয়েছে। গতি ফিরে আসছে এবং ক্যারিবিয়ানে যেমন ছিল, রান আপও তেমন গতিময় ছিল।’’
আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চার পেসার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নাহিদ, মোস্তাফিজ, তাসকিনের সঙ্গে আছেন তানজিম হাসান। চতুষ্টয়ের মধ্যে নাহিদের গতি সবচেয়ে বেশি। যা বৈশ্বিক আসরে বড় প্রভাব রাখতে পারে। সব ঠিকঠাক থাকলে দুবাই ও রাওয়ালপিণ্ডিতে সামনের টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই হয়তো মাঠে দেখা যাবে তাকে। স্বস্তির খবর, পুরোনো নাহিদকেই গতির ঝড় তুলতে দেখা যাবে বৈশ্বিক আসরে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনগত বছরে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে কিছুটা হলেও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি মূল্য ০.৭৩% বৃদ্ধি অর্জন করেছে। ফলে এটি ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া রপ্তানির পরিমাণও ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্কিন পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর পারফরম্যান্স দেখানো হয়েছে।
মার্কিন পোশাক আমদানিতে একটি পরিমিত সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও মূল্যে ১.৮২% এবং পরিমাণে ৫.৮৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গড় ইউনিট মূল্য ৩.৮৩% হ্রাস পেয়েছে। যা প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও মূল্য নির্ধারণের ওপর নিম্নমুখী চাপের ইঙ্গিত।
তবে সামগ্রিক বাজার প্রবণতার মতো বাংলাদেশেও ইউনিট দর ৩.৯৪% হ্রাস পেয়েছে, যা মুনাফায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
অন্যান্য প্রধান পোশাক রফতানিকারক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল মাঝারি। ভিয়েতনামের মূল্য ৫.৬৭% বৃদ্ধি এবং পরিমাণে ৯.৪৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ভারতের মূল্যে ৪.৯৫% এবং পরিমাণে ১৩.০৯% বৃদ্ধি হয়েছে। কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১৪.৪৮% এবং পরিমাণ ১৮.৪৫% বেড়েছে। যা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রবণতা তুলে ধরে।
অন্যদিকে মেক্সিকো ও কোরিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মেক্সিকোর পণ্য আমদানি মূল্যে ৬.৭৮% এবং পরিমাণে ১৫.১৮% হ্রাস পেয়েছে এবং কোরিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১২.৯৪% এবং পরিমাণ ৫.৫৬% হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রধান সরবরাহকারীদের তুলনায় বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে তুলনামূলকভাবে ধীর প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্যাদি ও প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
বিএইচ