বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তারকে সব ধরনের ক্রিকেট ও ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি।

ফিক্সিং সংক্রান্ত পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায়ে এই শাস্তি পেয়েছেন তিনি। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দায় স্বীকার করে নিয়েছেন সোহেলী। 

তার নিষেধাজ্ঞা চলতি মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। তিনি সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন ২০২২ সালে। তবে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।

সোহেলীর আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক ২.

১.১ ধারা ভেঙেছেন। সেখানে তিনি ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিং করতে প্ররোচিত করেছেন। ২.১.৩ ধারা ভেঙেছেন। যেখানে বলা হয়েছে- তিনি ম্যাচ পাতানোর জন্য অন্যকে উৎসাহিত করার দরুণ অর্থ বা পুরস্কার নিয়েছেন কিংবা চেয়েছেন। 

আইসিসির প্রতিবেদনে ২.১.৪ ধারা ভঙ্গের কথা বলা হয়েছে। যেখানে তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করেছেন বা প্ররোচিত করেছেন। ২.৪.৪ ধারায় বলা হয়েছে- আইসিসিকে তিনি তদন্তের স্বার্থে তথ্যাদি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৭ ধারায় বলা হয়েছে- এই নারী ক্রিকেটার তদন্তে বাধা দিয়েছেন, তথ্যা দিতে বিলম্ব করেছেন বা তথ্যাদি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।

সোহেলী বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১৩ সালে তার অভিষেক হয় ও ২০১৪ সালে শেষ ওয়ানডে খেলেন। দেশের জার্সিতে তিনি ১৩টি টি-২০ খেলেছেন। যার প্রথমটি ২০১৩ এবং শেষটি খেলেছেন ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ২০২৩ টি-২০ বিশ্বকাপের সময় তৎকালীন জাতীয় দলের ক্রিকেটার লতা মণ্ডলকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু লতা ওই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তিনি আকসুকে বিষয়টি জানিয়ে দেন। ওই সময় সোহেলী সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি সতীর্থ লতাকে মজা করে মিথ্যা মিথ্যা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাত্র। যে কারণে নিজে ফেঁসে যাচ্ছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স কর ছ ন আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ

রাজনীতিবিদেরা সাধারণত পুরো সত্য বলেন না। যেটুকু নিজের স্বার্থে কাজে আসে, সেটুকুই বলেন। এই বিষয়ক একটি রূপক ইংরেজিভাষী অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত। সেটা হলো ‘গ্লাস হাফ ফুল অর হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ গ্লাসে অর্ধেক পানি থাকলে কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ ফুল’ আর কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ একই জিনিস দুজন দুভাবে বলেন। কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক ভরা, কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক খালি।

বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি আছে সত্য। কিন্তু সেই ঘাটতি মূলত পণ্য বাণিজ্যে। সেবা বাণিজ্যে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। সেখানে তাকে ধরাছোঁয়ার মতো কেউ নেই।

সিএনএনের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ২৯৩ বিলিয়ন বা ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এই উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মুডিস অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ হলো সেবা ব্যবসা। এটাই মার্কিন অর্থনীতির গোপন সূত্র। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে সেবা রপ্তানি করে। যেসব দেশে এই সেবা রপ্তানি করা হয়, তারা আবার জানে, যুক্তরাষ্ট্র বেকায়দায় পড়লে তারা এসব আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারবে, যেমন তারা বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি থেকে এসব সেবা আমদানির ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডের শর্ত দিতে পারে।

সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৯১ হাজার ‍৮৪০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এই ঘাটতি বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
ঘাটতি মানেই খারাপ নয়।

দ্বিতীয় জমানায় ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশ দিয়েই যাচ্ছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কার কথা জানাল ফেডারেল রিজার্ভ সান ফ্রান্সিসকো
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু
  • বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ
  • ‘হিট-কন্যা’ সোফিয়া
  • বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
  • ইকুয়েডরে আবার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রক্ষণশীল দলের নোবোয়া
  • চাকরি ছেড়ে আখের ব্যবসায় প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন
  • গ্রামে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু, বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা
  • গাজায় এ পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
  • ইন্টারনেটের ব্যবহার কম উৎপাদনশীল খাতে