সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট জেলা পুলিশের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.

রাসেলুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. রফিকুল ইসলামের পৃথক স্বাক্ষরিত আদেশে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়।

ক্লোজড হওয়া ১৩ পুলিশ সদস্য হলেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়। বর্তমানে তাদের সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধ পাথর পরিবহনে পুলিশের চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর এক দিন পরেই আজ ১৩ জন পুলিশ ক্লোজের এই অফিস আদেশ দেয় সিলেট জেলা পুলিশ।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ১৩ প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল চবি ছাত্রদল 

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার এক কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

আটক ছাত্রলীগ কর্মীর নাম শাওন হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সোমবার (১৪এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে তাকে আটক করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

আরো পড়ুন:

বউচি খেলায় ঐতিহ্যের স্মৃতি ফিরল চবিতে

চবিতে বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, শাওন শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এর আগে তিনি ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধরে যুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে মারধর করে তাকে সেন্ট্রাল ফিল্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেন্ট্রাল ফিল্ড থেকে জুতার মালা পরিয়ে জিরো পয়েন্ট পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়। তবে এই পুরো সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।

পুলিশ বক্সে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করেন।

শাখা ছাত্রদল কর্মী শামিম বলেন, “ফ্যাসিবাদী আমলে চবিতে ছাত্রদলের তেমন কোন অবস্থান ছিল না। তবে ছাত্রদলের সাথে আমার গোপন আঁতাত ছিল। এ বিষয়টি শাওন হোসেন জানত। এরপরে আমাকে মারধর করে এবং ক্যাম্পাসে আসাতেও বাধা সৃষ্টি করে। ওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ছাত্রলীগ করত বলে স্বীকার করেছে।”

আহত ছাত্রলীগ কর্মী শাওন বলেন, “জুলাইয়ে আমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম। জুলাইয়ের ৯ তারিখের পর আমি বাড়িতে চলে যাই। এরপর আন্দোলন নিয়ে কোন পোস্ট করিনি।”

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, “প্যানিক ডিস অর্ডারের কারণে হার্ট এট্যাকের আশঙ্কা থেকে আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে রেফার করেছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ