বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। শুনানিতে আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছে।

আজ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ শুনানি গ্রহণ করেন। আগামীকাল বুধবার শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল, নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন হাইকোর্ট আসামিদের জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত আপিল করেন কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা। ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি চলছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

জসিম সরকার ও খন্দকার বাহার রুমি এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার শুনানিতে ছিলেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। এরপর গতকাল ও আজ শুনানি হয়।

পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছে। এর আগের দিন শুনানিতে পেপারবুক থেকে এজাহার, অভিযোগপত্র, অভিযোগ গঠন ও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনায় রাষ্ট্রপক্ষ। আগামীকাল আবার শুনানি হবে।

আরও পড়ুনডেথ রেফারেন্সের ওপর হাইকোর্টে শুনানি চলছে, কালও চলবে০৫ ডিসেম্বর ২০২২

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে নানা মহলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে মাগুরার স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশিষ্টজনেরাও ব্যক্ত করেছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।

মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মেনে নিতে পারছি না। আমরা আইনজীবীর সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধর্ষকদের পক্ষে কোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ জন্য আইনজীবী সমিতি সব ধরনের সহায়তা করবে।

জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লাবনী জামান জানান, সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাগুরায় এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে ধর্ষকের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলা মহিলা পরিষদ সবসময় শিশুটির পরিবারের পাশে থাকবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হুসাইন বলেন, এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর না হলে মাগুরায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

জেলা গণকমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সম্পা বসু বলেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ধর্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।

মাগুরা শহরের রিকশাচালক আব্দুর রহমান ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান।

এদিকে শিশুটির মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে। গ্রামের ওহিদুর রহমান নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমরা বাকরুদ্ধ। শুধু বলতে চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করে ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করুন।
 
নিহত মেয়েটির প্রতিবন্ধী বাবা ফেরদৌস শেখ শোকে মুহ্যমান। কান্না করতে করতে বললেন, কন্যার হত্যার বিচার চান তিনি।

মাগুরা সদর থানার ওসি আয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্তক রয়েছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
  • জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে যৌথ অভিযানে নামবে ডিএনসিসি-রাজউক
  • পাসপোর্ট পেতে মাইকেল চাকমার আবেদন সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক পরীক্ষার্থী শাস্তি পাচ্ছেন
  • মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে মানুষের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
  • মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে নানা মহলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
  • ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধের সব দায় নিলেন দুতার্তে
  • কাজ না করেই ১১ কর্মকর্তা কর্মচারী বেতন তোলেন
  • কাজ ছাড়াই বেতন তোলেন বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী: দুদক
  • অভ্যুত্থানের পর ঢাকার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্কে ভারতের চেয়ে এগিয়ে চীন