রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছে
Published: 11th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। শুনানিতে আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছে।
আজ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ শুনানি গ্রহণ করেন। আগামীকাল বুধবার শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল, নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন হাইকোর্ট আসামিদের জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত আপিল করেন কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা। ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি চলছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছে। এর আগের দিন শুনানিতে পেপারবুক থেকে এজাহার, অভিযোগপত্র, অভিযোগ গঠন ও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনায় রাষ্ট্রপক্ষ। আগামীকাল আবার শুনানি হবে।
আরও পড়ুনডেথ রেফারেন্সের ওপর হাইকোর্টে শুনানি চলছে, কালও চলবে০৫ ডিসেম্বর ২০২২উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মাথাপিছু আয় কমে ২,৭৩৮ ডলার, কমেছে প্রবৃদ্ধির হার
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য দিয়েছে। এই হিসাবে সাময়িক হিসাব থেকে মাথাপিছু আয় ৪৬ ডলার কমে গেছে। সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৮৪ ডলার।
আজ সোমবার বিবিএস ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মাথাপিছু আয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) চূড়ান্ত হিসাব দিয়েছে। সেখানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এই হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও কমেছে। সাময়িক হিসাবের চেয়ে কমেছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশীয় পয়েন্ট।
মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরের আয়ের পাশাপাশি প্রবাসী আয়সহ যত আয় হয়, তা একটি দেশের মোট জাতীয় আয়। সেই জাতীয় আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে এই হিসাব করা হয়।
বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, তিন বছর ধরে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে তা আরও কমল।
মূলত ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্কিন ডলারের গড় বিনিময় হার ১১১ টাকা ৬ পয়সা হিসেবে ধরা হয়েছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডলারের বিনিময় হার বাড়ছে।
তবে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে, সেই হিসাবে মাথাপিছু আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ৩ লাখ ৪ হাজার ১০২ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে
বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। কয়েক মাস আগে দেওয়া সাময়িক হিসাবে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। ফলে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।