আত্মীয়র শেষকৃত্যে যাওয়া হলো না নমিতার
Published: 11th, February 2025 GMT
নমিতা রানী তার এক আত্মীয়র মৃত্যুর খবর পেয়ে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তবে সেই অনুষ্ঠানে তার আর যাওয়া হলো না। ইট বোঝাই ট্রলি কেড়ে নিল তার প্রাণ। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আরও এক যাত্রী মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন, পাবনার আমিনপুর থানার চরকান্দি এলাকার প্রশান্ত কুমার সূত্রধরের স্ত্রী নমিতা রানী (৪৫) ও বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পাকুরাপাড়া এলাকার মৃত বাদশার ছেলে মামুন হোসেন (৩২)।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের মহিষাকোলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত নমিতা রাণীর স্বামী প্রশান্ত কুমার সূত্রধর এবং রাহাত এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়ারেচ চৌধুরি গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, রাহাত এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়ারেচ চৌধুরী তার বালিবোঝাই একটি ট্রাক আমিনপুর থানার বোয়ালিয়া নামক স্থানে দুর্ঘটনায় কবলিত হলে সেখানে যাচ্ছিলেন তার আরেকটি ট্রাকের চালক মামুন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কাশীনাথপুর থেকে যাত্রী নিয়ে বেড়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের মহিষাকোলা নামক স্থানে পৌঁছালে ইট বোঝাই একটি ট্রলি তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নমিতা রানি ও মামুন হোসেন মারা যান। এসময় প্রশান্ত কুমার সূত্রধর এবং ওয়ারেচ চৌধুরি গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষ অবস্থায় ওয়ারেচ চৌধুরিকে চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, সিএনজিটি পাবনার কাশিনাথপুর থেকে যাত্রী নিয়ে বেড়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ইট বোঝাই একটি ট্রলি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত এবং দুইজন আহত হন। ট্রলিসহ চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ।
মাধপুর হাইওয়ে থানার এস আই জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নিহতদের আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সিএনজিটি আমিনপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিভিন্ন হাসপাতালে র্ভতি আছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র স এনজ
এছাড়াও পড়ুন:
হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে: ইসরায়েলের মন্ত্রী
ফিলিস্তিনের গাজাকে ‘নরকে’ পরিণত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে।
গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে জিম্মি মুক্তি স্থগিত করেছে হামাস। এরপর হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আগামী শনিবারের মধ্যে হামাস শর্ত অনুযায়ী জিম্মি মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করবেন তিনি। এরপর গাজায় ‘নারকীয়’ পরিস্থিতি দেখা দেবে।
আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শ্লোমো কারহি লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে বলেছেন, জবাবটা সেভাবেই দিতে হবে। মানবিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে; পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে এবং জিম্মিরা ফেরত না আসা পর্যন্ত পাশবিক ও চরম শক্তি খাটাতে হবে।’
ইসরায়েলের এই মন্ত্রী এক্সে আরও লেখেন, ‘হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে। এবার আমাদের বীর যোদ্ধাদের ওপর কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুনট্রাম্পের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যে কি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে২ ঘণ্টা আগেগত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। শনিবার আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে গতকাল জিম্মি মুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় হামাস।
যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে গাজায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩৯ জন।
আরও পড়ুনজিম্মি মুক্তির জন্য হামাসকে আলটিমেটাম, নইলে যুদ্ধবিরতি বাতিলের হুমকি ট্রাম্পের১০ ঘণ্টা আগে