কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে শূন্যরেখায় একটি গাছের ওপর লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে বিএসএফ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় এক পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিএসএফ।

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮–এর ৯এস সাবপিলারের পাশে শূন্যরেখার একটি গাছের ওপর সিসিটিভি ক্যামেরাটি লাগায় বিএসএফ। ওই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।

গতকাল দিনভর বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফায় পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিজিবির জোরালো অবস্থানের কারণে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

এ ছাড়া পতাকা বৈঠকে জোড়া মসজিদ এলাকায় শূন্যরেখায় নির্মিত টিনের স্থাপনা অপসারণ এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরি না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ কম ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে জেলেদের ওপর বিএসএফের হামলা

বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা একদল জেলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদীর বয়ারসিং সংলগ্ন উলোখালীর চর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

এসময় জেলেদের মারধর করে তাদের দু’টি নৌকা বিএসএফ সদস্যরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা। 

হামলার সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া জেলেরা সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে লোকালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে দাবি তাদের স্বজনদের।

বিএসএফের হামলার শিকার জেলেরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে রমজান, শাহাজান, ফরেজ গাজীর ছেলে শাহাদাৎ, শাহাজান, আতাউর, সৈয়দ গাজীর ছেলে আব্দুল, মানিকপুর গ্রামের কেরামত ও কৈখালীর নুর মোহাম্মদ। 

ঘটনার শিকার শাহাদাৎ হোসেন জানান, পশ্চিম সুন্দরবনের কৈখালী স্টেশন থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে চারদিন আগে তারা সুন্দরবনে যান। তিনটি নৌকার ১২ জন জেলে দু’দিন ধরে বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত উলোখালীর চরে পাটা জাল পেতে মাছ ধরছিলেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দু’টি স্পিডবোট নিয়ে বিএসএফ সদস্যরা আকস্মিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের মারধর শুরু করেন।

শাহাদাৎ হোসেন আরও বলেন, এসময় তারা পেতে রাখা জাল ও সেখানে থাকা নৌকা ফেলে বনের মধ্যে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এসময় জাল একইভাবে পাতা থাকলেও নৌকা দু’টি নিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বর্ডার এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়ার কারণে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

স্থানীয় রমজাননগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লাল্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফের মারধরের শিকার আট জেলের মধ্যে ছয়জন তার এলাকার। বিএসএফ নৌকা নিয়ে উলোখালীর চর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় তারা উপায়ন্তর না পেয়ে পায়ে হেঁটে বনের মধ্য দিয়ে লোকালয়ে ফিরছেন। পরে বেশি লোকজন ও নৌকা নিয়ে গিয়ে সেখানে পেতে রাখা জাল উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। জেলেরা এলাকায় ফিরলে বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের জানানো হবে।

এ বিষয়ে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমান জানান, এখনো কেউ বিষয়টি তাদের অবহিত করেনি। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজিবি কৈখালী ক্যাম্পের সুবেদার আবু বক্কার জানান, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিষয়টি তাদের অবহিত করেছেন। ঘটনাটি বয়ারসিং এলাকার হওয়ায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ জানাতে সেখানকার বিজিবি (রিভারাইন) ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইন ভেঙে বেড়া নির্মাণচেষ্টা, বাধায় পিছু হটল বিএসএফ
  • সুন্দরবনে জেলেদের ৩টি নৌকা নিয়ে গেল বিএসএফ, ৯ জেলে সারা রাত কাটালেন গাছে
  • হাতীবান্ধা সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশি তরুণকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত
  • সুন্দরবনে জেলেদের মারধর, দুই নৌকা ছিনতাই বিএসএফের
  • বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন মমতা, তুললেন ইউনূস-মোদি বৈঠকের কথাও
  • বাংলাদেশে ঢুকে জেলেদের হামলা করার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
  • পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা!
  • বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে জেলেদের ওপর বিএসএফের হামলা