‘নেইমারের আর সামর্থ্য নেই’, আল হিলাল নির্বাহীর বিস্ফোরক মন্তব্য
Published: 11th, February 2025 GMT
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু ইনজুরি জর্জরিত ব্রাজিলিয়ান তারকা আল হিলালে খেলার পর্যায়েও নেই। আল হিলাল তার থেকে যেটা চায় সেটা দেওয়ার সামর্থ্য নেইমারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্তেভে কালজাদা।
নেইমার সম্প্রতি আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন। তিনি শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছেন। চুক্তি বাতিল করা দুই পক্ষের জন্যই লাভের হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন আল হিলাল নির্বাহী।
কালজাদা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে, নেইমারকে আমরা দলে নিয়মিত রাখতেই পারিনি। সে আল হিলালে এসেই ইনজুরিতে পড়ে। তার চলে যাওয়া প্রমাণ করে যে, আল হিলাল এমন কাউকে চাচ্ছিল যার শীর্ষ পর্যায়ের মান ধরে রেখে খেলার সামর্থ্য আছে।’
নেইমার আল হিলালে যোগ দেওয়ায় সৌদি প্রো লিগের এবং ক্লাবের মার্কেটিং হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কালজাদা। তবে খেলোয়াড়ের মূল কাজ খেলা বলেও উল্লেখ করেন তিনি, ‘ক্লাবের অসাধারণ মার্কেটিং হয়েছে, এটা সত্য। তবে তার আসল কাজটাই তো ফুটবল খেলা। শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্তে আসলাম যে, প্রত্যাশা পূরণের পর্যায়ে সে আর নেই।’
নেইমার ফর্মের তুঙ্গে থেকে বার্সেলোনা ছাড়েন। ২০১৭ সালে পিএসজি যোগ দেন তিনি। এরপর থেকেই ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন এই তারকা। আল হিলালে দেড় মৌসুমের প্রায় পুরোটা সময় ইনজুরিতে ছিলেন তিনি। সান্তোসে যোগ দিয়ে এরই মধ্যে ব্রাজিলিয়ান তারকা দুই ম্যাচ খেলেছেন। তবে সেখানেও ‘নেইমার সুবাস’ মেলেনি এখেনো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল আল হ ল ল কর ছ ন ইনজ র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।