সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও ৯ কনস্টেবল রয়েছেন। পাথরবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ আজ মঙ্গলবার তাদের থানার কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তবে গতকাল সোমবার সিলেটে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাসেলুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) সাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন, ও কিপেস চন্দ্র রায়।
সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, রেলওয়ের বাঙ্কার এলাকা ও শারফিন টিলা এলাকা থেকে পাথর লুটে পুলিশ একাধিক অভিযান চালায় ও মামলা করে। গত কয়েকদিন ধরে শারফিন টিলা এলাকা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর ট্রাকে করে নেওয়ার সময় চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠে পুলিশের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। বিষয়টি পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানের নজরে আসলে তাদেরকে ক্লোজ করা হয়। মঙ্গলবার থানা থেকে তাদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে গণপিটুনি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজারের রংপুর গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্তকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই বাড়ির পাশের রুমেই ভাড়া থাকত অভিযুক্ত যুবক। শিশুটির বাব-মা দুজনে গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে মেয়েকে পাশের বাসার এক নারীর কাছে রেখে যান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির উঠানে বাচ্চাটি খেলাধুলা করার সময়ে তাকে একা পেয়ে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। বিষয়টি ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দেখে ফেলায় বাচ্চাটি রক্ষা পায়। পরবর্তীতে শিশুর বাবা-মা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে এমন খবর জানতে পেরে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করে।
সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন বলেন, বাচ্চার বাবা-মা কাজ শেষে বাসায় ফিরে আসার পর তাদের কাছে বিষয়টি ওই শিশু জানায়। পরে বাবা-মা অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। এবং এ যাত্রায় তাকে ক্ষমা করে দিতে বলেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার এ ঘটনা সম্পর্কে বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়দের জানালে তারা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা প্রক্রিয়াধীন।