মার্জিন রুলস, মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা যুগোপযোগী করার সুপারিশ টাস্কফোর্সের
Published: 11th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এবং মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর যুগোপযোগী করার বিষয়ে সুপারিশ করেছে শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স।
শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের খসড়া সুপারিশে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিতে টাস্কফোর্স কমিশনের কাছে দুটি বিষয়ে খসড়া সুপারিশ পেশ করা হয়েছে।
মূলত শেয়ারবাজারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় তথা: সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এবং মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর যুগোপযোগী করার বিষয়ে খসড়া সুপারিশ দিয়েছেন টাস্কফোর্স।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মু.
সুপারিশ হস্তান্তরের সময় টাস্কফোর্সের সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের (বিয়াক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের সিনিয়ল অংশীদার এ এফ এম নেসার উদ্দীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশের মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারের সংস্কারের প্রক্রিয়া অধিকতর গতিশীল রূপ পাবে বলে সবাই একমত হন।
শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স মোট ১৭টি কার্যপরিধি বা মূল দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। কার্যপরিধির আলোকে আগামীতে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ইস্যুতে শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের আরও সুপারিশ আসবে এবং সুপারিশ কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত হবে বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
শেয়ারবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। সর্বোপরি, পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সাপেক্ষে দেশের শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও কল্যাণ বিবেচনায় রেখেই টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের সংস্কার সাধনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে- বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং শেয়ারবাজারে আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি।
পরে টাস্কফোর্সের পরামর্শে এবং তাদের কাজের সহযোগিতার জন্য শেয়ারবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে ‘শেয়ারবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করা হয়।
বিএসইসি গঠিত ‘শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ ও ‘শেয়ারবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ শেয়ারবাজারের সুশাসন উন্নত করা, অভ্যন্তরীণ সুশাসন শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক মানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ সর্বোপরি দেশের শেয়ারবাজারের টেকসই সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব এসইস
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় নকলের অভিযোগে ১১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার
গাইবান্ধায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার চারটি কেন্দ্রে নকল ও মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অপরাধে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করার দায়ে এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তিনজন, বোনারপাড়া এম ইউ সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র একজনকে বহিষ্কার করাসহ তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্র থেকে পাঁচজন, কামদিয়া দারুল উলুম সিদ্দিকীয়া আলীম মাদ্রসার কেন্দ্র থেকে এক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, পরীক্ষা চলাকালে সাঘাটা পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। এসময় তিনটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, “পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অপরাধে মাদ্রাসার দুটি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কক্ষ পরিদর্শনের সময় ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করায় এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
অপরদিকে, সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্মার্টফোন নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করায় ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান কেন্দ্র সচিব মো. ইলিয়াস আলী।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল মামুন (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।”
ঢাকা/মাসুম/এস