দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সরিয়ে এনইএস এবং ইউএনসিএসি-এর ফোকাল পয়েন্ট বিভাগের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকা‌শে অনিচ্ছুক দুদ‌কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

দুদক জানায়, প্রশাসন ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে আসা দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান, বাংলা‌দেশ ব‌্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত কাজ চা‌লি‌য়ে আস‌ছি‌লেন। তদন্ত কা‌জ নি‌য়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করার কার‌ণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপ‌ত্তির মু‌খে তা‌কে দা‌য়িত্ব থে‌কে স‌রি‌য়ে দেওয়া হয়। এর আগে, তা‌কে দা‌য়িত্ব থে‌কে প্রত‌্যাহা‌র ক‌রে কমিশন থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।

এ বিষ‌য়ে দুদক মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন ব‌লে‌ছি‌লেন, তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রকাশ করার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকা‌রি কর্মকর্তা হি‌সে‌বে শৃঙ্খলা ভ‌ঙ্গের অভিযোগ করে চি‌ঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া তার বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানা‌নো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।

৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালালেও দুদক সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি। অভিযান শেষে কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি। তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাশ্রয়ী দামে ঈদের পোশাক পাবেন যে মার্কেটে

ছবি: অগ্নিলা আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ