বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
Published: 11th, February 2025 GMT
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএমজেপির নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে বিফল হয়ে গত বছর হাইকোর্টে রিট করেন দলটির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে আবেদন খারিজের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএমজেপিকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মো.
রায়ের পর ইসির আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইসির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনরাজনৈতিক দল হিসেবে ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ১২ ডিসেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
মাদক ব্যবসার কাজে বাধা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকায় আইনজীবী মো.শরীফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবী বাদী হয়ে ওই এলাকার মো. সোহাগ (২৫), মো. মাহফুজ মিয়া (২১), আমান মিয়া (৫০), অয়ন (১৯) ও মোসা. মুন্নীকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, 'গত শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাসী সোহাগের নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির গেইট, দরজা, জানালা ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করেন। তারা এলাকায় চুরি ও ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসা করে থাকে।
এ ছাড়া এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করলে চাঁদা না দিলে মারধরসহ হুমকি দেয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বিবাদীদের মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করে বাধা নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একই দিন দুপুরে আমি এবং আমার স্ত্রী বাড়ি ফেরার পথে চাপাতি, চাকু, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমাদের পথরোধ করে। আমার স্ত্রী বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং আমাকে মারধর করে টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।'
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।