১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর এবার তিন নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম। এর মধ্য দুটি সরকারি নার্সিং কলেজ ও একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নাম পরিবর্তন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সিরাজগঞ্জের শেখ হাসিনা নার্সিং কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন নার্সিং কলেজ ও পটুয়াখালীর বাউফলের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনস্টিটিউট। এসব নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন থেকে জেলার নামে (সিরাজগঞ্জ নার্সিং কলেজ, গোপালগঞ্জ নার্সিং কলেজ ও পটুয়াখালী নার্সিং ইনস্টিটিউট) পরিচিত হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয় শেখ পরিবারের নাম। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতির বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ সদরের শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুরের ড.

এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জের বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের নাম বদলে সিরাজগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, নওগাঁর মান্দার শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে নওগাঁ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, জামালপুরের মাদারগঞ্জের শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে জামালপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং মেহেরপুরের ছহিউদ্দিন টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে মেহেরপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।

আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নাম ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গত বছরের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আরও ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম।

আরও পড়ুনশিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের শিক্ষক নিয়োগ দিতে ‘প্রি সার্ভিস একাডেমিক প্রোগ্রাম’ চালুর সুপারিশ৩ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ খ পর ব র র ন ম গ প লগঞ জ স র জগঞ জ বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলায় ‘মবের’ মতো উসকানিমূলক অবস্থা কেন তৈরি হলো, প্রশ্ন ইসলামী আন্দোলনের

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, একটি কার্যকর রাষ্ট্রে কোনো ক্ষেত্রেই ‘মব’ সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য না। সেই নীতিতে গতকাল বইমেলায় যা হয়েছে, তা–ও সমর্থনযোগ্য না। একই সঙ্গে বইমেলায় তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কার্যকর রাষ্ট্রে কোনো ক্ষেত্রেই “মব” সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য না। সেই নীতিতে গতকাল বইমেলায় যা হয়েছে, তা–ও সমর্থনযোগ্য না। একই সঙ্গে এই প্রশ্নও করা জরুরি যে তসলিমার মতো একজন, যার দেশদ্রোহিতা ও সমাজবিরুদ্ধতা বারবার প্রমাণিত এবং যে পতিত ফ্যাসিবাদের পক্ষের নির্লজ্জ যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছে, তার বই কী করে বইমেলায় প্রকাশিত হতে পারে? কোন সাহসে একটা প্রকাশনী তসলিমার মতো ব্যক্তির বই ছাপাতে পারে, সেই প্রশ্ন করাও জরুরি।’

তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে অমর একুশে বইমেলার ‘সব্যসাচী’ নামের স্টলে গতকাল সোমবার বাগ্‌বিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। পরে ওই স্টল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। স্টলে থাকা ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নেওয়া হয়। এই স্টলের বিরুদ্ধে নাস্তিকতা প্রচারের অভিযোগ তুলে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেছেন, ‘গতকাল যা হয়েছে, তা প্রতিক্রিয়া। সেই প্রতিক্রিয়ার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এমন উসকানিমূলক ক্রিয়া তৈরি হলো কেন? এই প্রশ্নের সমাধান না করে “তৌহিদী জনতা”কে শায়েস্তা করার হুমকি দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, বইমেলার ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, মবের মহড়া সরকার শক্ত হাতে দমন করবে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘তৌহিদী জনতা! আপনারা দেড় দশক পরে শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহাম্মকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে। জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা—জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!’

আরও পড়ুনতসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা–হট্টগোল, একটি স্টল বন্ধ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উপদেষ্টার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে ইউনুছ আহমাদ বলেন, একজন উপদেষ্টা যে ভাষায় কথা বলেছেন ও হুমকি দিয়েছেন, তা জনতন্ত্রের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নতুন বাংলাদেশের কোনো উপদেষ্টার কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত না। এমন অবস্থায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনবইমেলার স্টলে হামলার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ২২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ