সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের
Published: 11th, February 2025 GMT
তিন দিন আন্দোলনের পর এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ তথ্য জানিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, “আইনজীবী সমিতির সাবেক, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এজলাসে বসে আইনজীবীদের সম্পর্কে কটূক্তি ও অশালীন আচরণ করে। বহু আইনজীবীর সাথে এমন দুর্ব্যবহার, খারাপ আচরণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার থেকে এই আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করা হয়েছে।”
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আসেন বিচারক নূরে আলম। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একজন আইনজীবী এসে বলেন ‘আদালত যেন আজ না বসেন।' আইনজীবী এসে বলে যাওয়ার পর এদিন বিচারক আর এজলাসে উঠেননি।
ঘটনার সূত্রপাত ৬ ফেব্রুয়ারি। এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করায় উপস্থিত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ ঝাড়েন। এ সময় বিচারক এজলাস ত্যাগ করে খাস কামড়ায় চলে যান।
এরপর রবিবার আইনজীবীরা বিচারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে ওইদিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক। সেদিন বিচারক নূরে আলম আদালতে আসলেও বিচার কাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। পরদিন সোমবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে এজলাসে উঠেন বিচারক। এ সময় আদালত চত্বরে নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কয়েকজন আইনজীবী নিয়মিত মামলার শুনানি করেন। এরই মাঝে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান দীপুর নেতৃত্বে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা দেন। তারা বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি কি পুলিশ দিয়ে কোর্ট চালাবেন? আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি। আপনি চলে যান। হট্টগোলের এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক।পরে আর এজলাসে ওঠেননি বিচারক। এরপর আজ মঙ্গলবার আদালত বর্জনের ঘোষণা এল।
ঢাকা/মামুন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব র এজল স
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীকে ইঙ্গিত করে অশোভন আচরণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে অটোরিকশায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর সামনে অশোভন আচরণ করার অভিযোগে মো. রানা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ মার্চ) ভোরে নওগাঁর মান্দা থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ইঙ্গিত করে অশোভন আচরণ, অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ
আরো পড়ুন:
যুবলীগ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: তিন জনের যাবজ্জীবন, দুই শিশুর ১০ বছরের দণ্ড
গ্রেপ্তার রানা রাজশাহী নগরের কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ছাত্রী বুধবার সকালে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
রাজশাহীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশায় ওঠেন। তার সামনে বসা রানা একাধিকবার ছাত্রীর পায়ে নিজের পা স্পর্শ করেন এবং একপর্যায়ে নিজের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে অশোভন আচরণ করতে থাকেন।
ছাত্রী ঘটনার ভিডিও ধারণ করে নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় ছাত্র ও জনতা রানার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। তবে তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, “সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশ রানাকে নওগাঁর মান্দা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। অতীতেও তিনি এ ধরনের কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ