বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লায়লা খানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, গত সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনে বলেন, এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত চলছে। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকা জমা রেখেছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।

দুদকের এই কর্মকর্তা আবেদনে আরো বলেন, ওই দম্পতি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তারা পালিয়ে গেলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। তাই তাদের বিদেশ গমন রহিত করতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার থেকে মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে: ইসরায়েলের মন্ত্রী

ফিলিস্তিনের গাজাকে ‘নরকে’ পরিণত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে।

গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে জিম্মি মুক্তি স্থগিত করেছে হামাস। এরপর হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আগামী শনিবারের মধ্যে হামাস শর্ত অনুযায়ী জিম্মি মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করবেন তিনি। এরপর গাজায় ‘নারকীয়’ পরিস্থিতি দেখা দেবে।

আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শ্লোমো কারহি লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে বলেছেন, জবাবটা সেভাবেই দিতে হবে। মানবিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে; পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে এবং জিম্মিরা ফেরত না আসা পর্যন্ত পাশবিক ও চরম শক্তি খাটাতে হবে।’

ইসরায়েলের এই মন্ত্রী এক্সে আরও লেখেন, ‘হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে। এবার আমাদের বীর যোদ্ধাদের ওপর কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না।’

আরও পড়ুনট্রাম্পের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যে কি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে২ ঘণ্টা আগে

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। শনিবার আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে গতকাল জিম্মি মুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় হামাস।

যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে গাজায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩৯ জন।

আরও পড়ুনজিম্মি মুক্তির জন্য হামাসকে আলটিমেটাম, নইলে যুদ্ধবিরতি বাতিলের হুমকি ট্রাম্পের১০ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ