একই মঞ্চে ওসি-বিএনপি ও আ.লীগের এক ঝাঁক নেতা, ফেসবুকে আলোচনা
Published: 11th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গেল থানার ওসি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার জে.কে পোল্লাডাঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন মাঠে ‘স্বর্ণ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দৃশ্য দেখা যায়।
ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন যুবদল নেতা সামিরুল ইসলাম গাজী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘খেলা মানে আনন্দ। দল-মত নির্বিশেষে এ টুর্নামেন্ট সফল করতে সবার প্রতি অনুরোধ রইল সহযোগিতা করার। এখন কোনো দলীয় সরকার ক্ষমতায় নেই, আছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাই খেলাটি যাতে সুষ্ঠুভাবে শেষ হয় সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।’
সভাপতির বক্তব্যে ওসি মো. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান যুব সমাজ মাদক ও মোবাইল ফোনে আসক্ত। তারা মোবাইলে গেমস খেলে। কিন্তু আমাদের এমন খেলা খেলতে হবে যাতে শরীরের ঘাম ঝরবে। এতে দেহ-মন সুস্থ থাকবে।’
এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
স্থানীয় ব্যক্তি মো. মুনসুর আলী লেখেন, ‘ধন্যবাদ তোমাদেরকে টুর্নামেন্ট কমিটিকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে তোমরা খেলাটাকে পরিচালনা করছ।’
শাহ জামাল খান মন্তব্য করেন, ‘ভোলাহাটেও তাহলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হলো। কাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাব সেটাই চিন্তায় পড়ে গেলাম। উনাদের না, পুনর্বাসনকারীদের?’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভোলাহাট থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ফ টবল ট র ন ম ন ট আওয় ম ল গ ব এনপ র রহম ন ব এনপ আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল নববর্ষ শোভাযাত্রা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক তৈরি, মেলা, পালা, কনসার্টসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
নববর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব ছিল কয়েক দিন ধরেই। সোমবার সকালে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চরকি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুর গাড়িসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শোভাযাত্রা শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদ্যাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’
নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মাঠ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে দুপুরে নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা করে। ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন।