বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া এলাকার রহমান পেট্রল পাম্পের সামনে এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রহমান পেট্রল পাম্পের সামনে আমতলীর চৌরাস্তা থেকে সাখারিয়ামুখী মাহেন্দ্রার সঙ্গে ঢাকা থেকে কুয়াকাটামুখী ইউনিক পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শহিদুল ইসলাম (৫৫) ও আদিপ (৭) নামে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে আহত অবস্থায় সাত্তার গাজী (৬৬) ও মনির শিকদারকে (৪৩) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সাত্তার গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মনির শিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বাস কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ
বরগুনার আমতলীর দূরপাল্লার ইউনিক বাস কাউন্টারের পাল্টাপাল্টি দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১১ জন। শনিবার দুপুরে আমতলী পৌরসভার বটতলায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর বটতলায় অবস্থিত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিবহনের সব কাউন্টার চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের পটুয়াখালী ও বরিশাল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার বটতলায় পরিবহন ইউনিক কাউন্টারের দখল নিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার এবং পৌর বিএনপি ও যুবদলের আহ্বায়ক কবির ফকিরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ রামদা ও লাঠিসোটা ব্যবহার করে। সংঘর্ষে বটতলা থেকে নতুন বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কিত লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান ব্যবসায়ীরা। বাঁধঘাটে মোশারেফ হোসেন নামের একজনের ওপর ধানের আড়তে হামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার শতাধিক বাস কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন– ফরহাদ ফকির (৩২), রাহাত ফকির (২৮), মিজানুর রহমান মোল্লা (৪৮), সাইফুল ইসলাম (৩৮), বায়েজিদ (৩০), আলী হোসেন (৩২), মো. ইছা (২৪), লিমন মৃধা (২৪), সামসুল হক চৌকিদার (৪৬), আলামিন ফকির (৩৪) ও বেল্লাল (৩১)।
আহতদের প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে আটজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল এবং তিনজনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর আহত মিজানুর রহমান মোল্লার ভাষ্য, তিনি বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো ছিলেন। এ সময় সামসুল হক চৌকিদারের লোকজন এসে রামদা দিয়ে তাঁকে কোপানো শুরু করে।
এ বিষয়ে সামসুল হক চৌকিদার বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাঁর। এ নিয়ে দুই দফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও শুক্রবার রাতে কবির ফকিরের লোকজন কাউন্টারের তালা ভেঙে ল্যাপটপ ও টিকিট নিয়ে যায়। আজ (শনিবার) দুপুরে তারা আবার কাউন্টার দখলে গেলে তাদের (সামসুল হক চৌকিদার পক্ষ) লোকজন বাধা দেয় এবং তাদের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। রামদার কোপে তাঁরও ডান হাতের একটি আঙুল কেটে গেছে।
এসব দাবি ও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির ফকির বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাদের (কবির ফকির) পক্ষের লোকজনের। তাদের লোকজন কাউন্টার চালাচ্ছিলেন। দুপুরে সামসুল হক চৌকিদার দুই থেকে আড়াইশ ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিকসহ বিআরটিসি কাউন্টার দখল নিতে গেলে তাদের লোকজন বাধা দেয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। মামলা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।