পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যাচ্ছিলেন পাশের বেড়া উপজেলার চরকান্দি গ্রামের নমিতা রানী সূত্রধর (৫০) ও তাঁর স্বামী প্রশান্ত সূত্রধর (৫৫)। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় পথে আরও কয়েকজন যাত্রীকে তোলা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাঁথিয়ার মহিষাকোলা এলাকায় পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে তাঁদের অটোরিকশাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

দুর্ঘটনায় নমিতা রানী ছাড়াও মো.

মামুন (২৮) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। মামুনের বাড়ি পাশের বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায়। এতে নমিতার স্বামী প্রশান্ত সূত্রধরসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক আত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সাঁথিয়ার করমজা শ্মশানে রওনা দেন নমিতা রানী ও প্রশান্ত সূত্রধর। তাঁরা বেড়ার আমিনপুর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। পথে চালক আরও কয়েকজন যাত্রীকে অটোরিকশায় তোলেন। অটোরিকশাটি সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাঁথিয়ার মহিষাকোলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ছিটকে মহাসড়কের পাশে দুমড়েমুচড়ে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী নমিতা রানী ও মো. মামুন নিহত হন।

স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। আহত যাত্রীদের প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাবনা ও ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাধপুর হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক জালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির কোন ধরনের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে, এখনো সঠিক তথ্য পাননি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বনশ্রীতে সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী যুবক

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার সড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহত ব্যক্তির নাম সৌরভ খান (৩১)। তিনি রাজধানীর পল্টন এলাকায় অবস্থিত একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। স্বজন ও পুলিশের ধারণা, কোনো বেপরোয়া গতির গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সৌরভ গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

সৌরভকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন তাঁর মামা সাইফুল ইসলাম। তিনি আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সৌরভ গতকাল সকালে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যান। মধ্যরাতে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে বনশ্রী এ ব্লকের শান্তা টাওয়ারের বিপরীত পাশের সড়কে তাঁর মোটরসাইকেলটিকে কোনো গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে তাঁর ধারণা। এতে সৌরভ ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে তিনি দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সৌরভকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সৌরভকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেপরোয়া গতির কোনো ট্রাক বা অন্য কোনো গাড়ি সৌরভের মোটরসাইকেলটিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

সৌরভের গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। তাঁর বাবা মো. জাকির হোসেন। সৌরভের স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ