নির্বাচন কবে হচ্ছে, সেই আলোচনায় গতি বাড়তেই একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর ধরেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (১১ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই তথ্য দেন।

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

তিস্তা ইস্যুতে বিএনপির দুই দিনের নতুন কর্মসূচি

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা নিহত

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকে নির্বাচনের এমন সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হয় । বৈঠক থেকে বেরিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেটে গেছে ছয় মাস। এরই মধ্যে বিএনপি বারবার নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে। তাদের ভাষ্য- নির্বাচনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার দ্রুত শেষ করেই নির্বাচন দেওয়া হোক।

নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির মতপার্থক্য থাকলেও দলটিও এখন নির্বাচনের কথা বলছে। এরই মধ্যে একাধিক জেলায় নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেছে জামায়াত।  

অবশ্য অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে নতুন দল গুছিয়ে তারাও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য দল ও ইসলামভিত্তিক দলগুলো ভোটের জোট নিয়ে আলোচনার মধ্যে রয়েছেন। অর্থাৎ সব দলই নির্বাচনি প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। আর বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর নির্বাচনি আলোচনায় আরো গতি এসেছে। 

নির্বাচন কমিশনার মো.

সানাউল্লা মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত করেন।

মো. সানাউল্লাহ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা গত ডিসেম্বরে বলেছিলেন যে, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য হয়, তাহলে এই বছরের শেষ নাগাদ, মানে চলতি বছরের ডিসেম্বরে...। যদি আরেকটু সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব।”

“কিন্তু আমাদের আর্লিয়েস্ট ডেট (নিটকবর্তী তারিখ)  ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তনীয়। ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের কোনো ভিন্ন প্রস্তুতি নাই, একটিই প্রস্তুতি,” বলেন মো. সানাউল্লাহ।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গণঅভ য ত থ ন ড স ম বর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন শিশুটির বোন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনিও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ