প্রশংসা কুড়াচ্ছে সাব্বির-কোনালের গান
Published: 11th, February 2025 GMT
সরকারি অনুদান নেওয়ার ছয় বছর পর গত শুক্রবার মুক্তি পায় ‘দায়মুক্তি’ সিনেমা। বৃদ্ধাশ্রমের গল্পকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে এটি। বদিউল আলম পরিচালিত এ সিনেমার ‘অন্তরে বাহিরে’ গানটি প্রকাশের পর চারপাশে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রোতামহলে অনেকে নতুন এই গানের কথা, সুর ও গায়কির প্রশংসা করছেন। কবির বকুলের কথায় জাহিদ নীরবের সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সাব্বির নাসির ও কোনাল। জনপ্রিয় এই দুই শিল্পীর একসঙ্গে এটিই প্রথম প্লেব্যাক।
গানটি নিয়ে সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসির বলেন, “দায়মুক্তি’ সিনেমায় প্রথম কোনালের সাথে ‘অন্তরে বাহিরে’ এই ডুয়েট প্লেব্যকে গাইলাম। প্রজেক্টটি বছর ২/৩ আগের। চলচ্চিত্রটি অবশেষে রিলিজ হওয়াতে ভালো লাগছে। গানটির কথা দিয়েছেন প্লেব্যাক লিরিকস মাস্টার কবির বকুল ভাই। মুরাদ নূর গানটির প্রথম সুর সংযোজন করেছিলেন। সেটিও সুন্দর সুর ছিল। পরে জাহিদ নীরব সুরারোপ করেন চলচ্চিত্রটির প্রয়োজনে। সেটিও বেশ সুন্দর হয়েছে। নীরবের কম্পোজিশনে এর আগেও কাজ করেছি। কোনাল তো অসাধারণ গান করেন। চমৎকার গেয়েছেন। আমি চেষ্টা করেছি তার সাথে তাল মেলাতে। কতটুকু পেরেছি শ্রোতা-দর্শকই বলতে পারবেন। জসিম ভাই আর খোকন ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
রাইসা ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির কাহিনি ও সংলাপ রচনা করেছেন কমল সরকার। ২০১৭ সালে অনুদান পেয়েছিল এ সিনেমা। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও সুম্মি রহমান। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। তা ছাড়াও আছেন সামিয়া নাহি, সুচরিতা, সুব্রত প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
ওমরা পালনে সৌদি আরবে যাচ্ছেন ওমর সানী
‘মানুষের ধর্মই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা’
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করলেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা একটি অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ বছর পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। আহমেদ আল-শারার বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাত করার তিন মাস পর সাংবিধানিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করার সময় আল-শারা বলেন, এটি ‘সিরিয়ার জন্য একটি নতুন ইতিহাসের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা করছি। এর মাধ্যমে আমরা নিপীড়নের পরিবর্তে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব।’
সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ আল-আওয়াক বলেন, আগের সংবিধানের কিছু বিষয় নতুন সংবিধানেও বজায় থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলিম হতে হবে এবং আইনশাস্ত্রের প্রধান উৎস হিসেবে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার দামেস্ক থেকে জানিয়েছেন, নেতাদের ধর্মীয় সম্পৃক্ততার ওপর আইন চালু করার প্রশ্নটি একটি ‘বিতর্কিত বিষয়’ ছিল।
এই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এ বিষয়টি সংবিধানের একটি ধারা হবে কি না, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এখন এটা স্পষ্ট যে, রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলিম হতে হবে।’
সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ আল-আওয়াক বলেন, এই নথিতে মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং নারীদের ‘সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার’ নিশ্চিত করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার নড়বড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি ‘সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য’ বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।
এই সংবিধানে বেশির ভাগ মনোযোগ থাকবে অন্তর্বর্তী সময়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর। এর লক্ষ্য হবে পূর্ববর্তী বাশার আল-আসাদ সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।
যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে আল-আওয়াক বলেন, অস্থায়ী সংবিধানের অধীনে নির্বাহী ক্ষমতা শুধু প্রেসিডেন্টের হাতে সীমাবদ্ধ থাকবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, অস্থায়ী সংবিধানে একটি গণপরিষদের কথা বলা হয়েছে। এটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্য নিযুক্ত করবেন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত সব আইন প্রণয়নের দায়িত্বে থাকবে এই গণপরিষদের হাতে। প্রেসিডেন্টের মতে, নির্বাচন হতে সম্ভবত চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
গণপরিষদের হাতে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতাও থাকবে। তাত্ত্বিকভাবে এটি সম্ভব হলেও বাস্তবে অত্যন্ত কঠিন হবে। কারণ, গণপরিষদের [অনেক] সদস্য সরাসরি রাষ্ট্রপতি নিজেই নিযুক্ত করবেন।
স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তবে এটি সিরিয়ার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতি গোষ্ঠীগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্ত করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।