Prothomalo:
2025-03-14@06:05:07 GMT

ঘুমানোর আগে কিছু আমল

Published: 11th, February 2025 GMT

রাতে দেরিতে ঘুমাতে গেলে ফজরে উঠতে সমস্যা হয়। এটা অস্বাভাবিক নয়। ঘুম থেকে না ওঠার কারণে ফজরের নামাজ আদায় করতে কারও কারও সমস্যা হয়। কীভাবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠার কয়েকটি কৌশল এখানে বলা হলো।

ঘুমানোর আগে আমল ঘুমানোর আগে কিছু আমল করে নেওয়া ভালো। আমলগুলো নিজের মতো তৈরি করে নেওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে সুরা ফাতিহা, দরুদ শরিফ, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা কাফিরুন, সুরা নাস, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সুরা হাশরের শেষ আয়াত, সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত, সুরা আল ইমরানের শেষ ১০ আয়াত, সুরা মুলক ইত্যাদি।

আরও পড়ুনফজরের নামাজ পড়লে ১০ পুরস্কার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘুমানোর আগে অজু করা ঘুমানোর আগে অজু করতে হবে। ঘুমাতে হবে ডান দিকে কাত হয়ে। ডান হাত গালের নিচে রাখা ভালো। ঘুমানোর আগে এই দোয়া করা ভালো, ‘হে আল্লাহ, আমার জন্য ফজরের নামাজকে তুমি সহজ করো, কবুল করো।’ তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া বেশি রাত না জাগা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রাত জাগার যুক্তিসংগত কারণ না থাকলে সেটাই উত্তম। ঘুমের আগে মুঠোফোনসহ সব ধরনের ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখলে সময়মতো ঘুমানো সহজ হয়।

আরও পড়ুনরাতে ঘুমানোর আগে সুরা মুলক পাঠ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

অ্যাপ ব্যবহার গুগল প্লে স্টোরে ব্যবহারযোগ্য অনেক ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়। সময়মতো ওঠার জন্য কোনো অ্যালার্ম অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। ঘুমের চক্র খেয়াল করা প্রত্যেক মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস আছে। কেউ ঘুমান ৮ ঘণ্টা, কেউ ৭ ঘণ্টা; কারও ঘুম হয় ৬ বা ৫ ঘণ্টা। ধরা যাক, ফজরের নামাজের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠতে হবে, তাহলে ঘুমের ধরন অনুযায়ী ততক্ষণ আগে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। বিতরের নামাজের পর দোয়া করা বিতরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। বিশ্বাস রাখতে হবে, আল্লাহ আপনাকে ঘুম থেকে জেগে ওঠাবেন।

আরও পড়ুনরাতের শেষ প্রহরে রাসুলুল্লাহ (সা.

) কী আমল করতেন১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পবিত্র কোরআন পড়ে ঘুমাতে যাওয়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে পবিত্র কোরআন থেকে সুরা পড়া যায়। হাদিসে সুরা মুলকসহ অন্যান্য সুরা পড়ার পরামর্শ আছে। কিয়ামতের কথা স্মরণ করা ভালো কাজ করলে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত হবেন। আল্লাহর কথা মেনে চললে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারবেন।

আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার জন্য কয়েকটি কৌশল০৬ জুলাই ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফজর র ন ম জ র জন য আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বিএনপির বাধা, থানায় মামলা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই ঘটনায় উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জের সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাহুবলে গাছে বেঁধে আগুন, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আহতদের মধ্যে জামায়াতের দুই কর্মীকে গাজীপুর পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- ঈশ্বরপুর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আসলাম (২৬) এবং খলাপাড়া এলাকার ইসলাম সরকারের ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৩৫)। 

বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সুমন মিয়া বলেন, “উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতারের আগ মুহূর্তে স্থানীয় বিএনপির কর্মী আপেল, নুর ইসলাম ও আকরামসহ ১০-১৫ জন এসে বলেন, এই এলাকায় ইফতার মাহফিল করা যাবে না। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা ইফতারের খাবার ফেলে দেন। পরে জামায়াতের কর্মীরা অন্য স্থানে ইফতার ও নামাজ শেষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিএনপি কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০ জন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।”

বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, “কেউ যদি আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়, তাহলে কি তারা রক্ষা করবে না? জামায়াতের নেতাকর্মীরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ৭-৮ জন আহত হন।” 

বিএনপির এই নেতা তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় দিতে পারেনি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসান বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় গাজীপুর পাঠানো হয়েছে।” 

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম বলেন, “রাত ৯টার দিকে জামায়াতের পাঁচজন কর্মীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুইজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, “জামায়াত নেতা মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ