রাতে দেরিতে ঘুমাতে গেলে ফজরে উঠতে সমস্যা হয়। এটা অস্বাভাবিক নয়। ঘুম থেকে না ওঠার কারণে ফজরের নামাজ আদায় করতে কারও কারও সমস্যা হয়। কীভাবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠার কয়েকটি কৌশল এখানে বলা হলো।
ঘুমানোর আগে আমল ঘুমানোর আগে কিছু আমল করে নেওয়া ভালো। আমলগুলো নিজের মতো তৈরি করে নেওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে সুরা ফাতিহা, দরুদ শরিফ, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা কাফিরুন, সুরা নাস, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সুরা হাশরের শেষ আয়াত, সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত, সুরা আল ইমরানের শেষ ১০ আয়াত, সুরা মুলক ইত্যাদি।
আরও পড়ুনফজরের নামাজ পড়লে ১০ পুরস্কার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ঘুমানোর আগে অজু করা ঘুমানোর আগে অজু করতে হবে। ঘুমাতে হবে ডান দিকে কাত হয়ে। ডান হাত গালের নিচে রাখা ভালো। ঘুমানোর আগে এই দোয়া করা ভালো, ‘হে আল্লাহ, আমার জন্য ফজরের নামাজকে তুমি সহজ করো, কবুল করো।’ তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া বেশি রাত না জাগা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রাত জাগার যুক্তিসংগত কারণ না থাকলে সেটাই উত্তম। ঘুমের আগে মুঠোফোনসহ সব ধরনের ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখলে সময়মতো ঘুমানো সহজ হয়।
অ্যাপ ব্যবহার গুগল প্লে স্টোরে ব্যবহারযোগ্য অনেক ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়। সময়মতো ওঠার জন্য কোনো অ্যালার্ম অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। ঘুমের চক্র খেয়াল করা প্রত্যেক মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস আছে। কেউ ঘুমান ৮ ঘণ্টা, কেউ ৭ ঘণ্টা; কারও ঘুম হয় ৬ বা ৫ ঘণ্টা। ধরা যাক, ফজরের নামাজের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠতে হবে, তাহলে ঘুমের ধরন অনুযায়ী ততক্ষণ আগে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। বিতরের নামাজের পর দোয়া করা বিতরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। বিশ্বাস রাখতে হবে, আল্লাহ আপনাকে ঘুম থেকে জেগে ওঠাবেন।
আরও পড়ুনরাতের শেষ প্রহরে রাসুলুল্লাহ (সা.) কী আমল করতেন১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
পবিত্র কোরআন পড়ে ঘুমাতে যাওয়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে পবিত্র কোরআন থেকে সুরা পড়া যায়। হাদিসে সুরা মুলকসহ অন্যান্য সুরা পড়ার পরামর্শ আছে। কিয়ামতের কথা স্মরণ করা ভালো কাজ করলে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত হবেন। আল্লাহর কথা মেনে চললে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফজর র ন ম জ র জন য আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
কালবিলম্ব না করে সময়মতো নির্বাচন দিন
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘কোনো কালবিলম্ব না করে সময়মতো, যৌক্তিক টাইমে নির্বাচন দিন, সবাই স্যালুট জানাবে।’
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১২ দলীয় জোটের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা করে ১২ দলীয় জোট। নেতাকর্মীর মধ্যে ৩১ দফা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদি আমিন।
গয়েশ্বর বলেন, ৩১ দফা একটি জাতীয় সনদ। ৬২টি দল একমত হয়ে এই সদন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ।
এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রজন্ম একাডেমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সংস্কার, নির্বাচন ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায়ও বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।