দুই ম্যাচে ১৯ উইকেট—গত মাসে পাকিস্তান সফরে এমন পারফরম্যান্স দিয়েই সিরিজসেরা হয়েছিলেন জোমেল ওয়ারিক্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার এবার সেই পারফরম্যান্সের সৌজন্যে জানুয়ারি মাসের সেরা খেলোয়াড়েরও স্বীকৃতিও পেলেন। ৩২ বছর বয়সী ক্রিকেটার এই প্রথম এই স্বীকৃতি পেলেন।

মুলতানে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ারিক্যান। টেস্টে ক্যারিয়ারে এটি ছিল তাঁর সেরা বোলিং। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের পরও টেস্টটি জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টেও জ্বলে ওঠেন ওয়ারিক্যান। শুরুতে ব্যাট হাতে, ১১ নম্বরে নেমে করেন ৩৬ রান। শেষ উইকেট জুটিতে গুড়াকেশ মোতির সঙ্গে গড়েন ৬৮ রানের জুটি।

দুই টেস্টের সিরিজে ওয়ারিক্যান নেন ১৯ উইকেট.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফুটবল ইশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই’- স্পার্স কোচ

ইউরোপা লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকগলু দলের ভাগ্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। গ্রীক বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ বলেছেন, এই মৌসুমে ফুটবল ইশ্বর যেন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই হুগো একিতিকে ফ্রাঙ্কফুর্টকে এগিয়ে দেন। ঠিক তাঁর ২০ মিনিট পর রাইট ব্যাক পেদ্রো পোরোর দারুণ গোলে সমতায় ফেরে স্পার্স। তবে ম্যাচে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করে বসে স্বাগতিকরা। যার ফলে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে জার্মানিতে দ্বিতীয় লেগে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে লন্ডনের ক্লাবটি।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মিডফিল্ডার লুকাস বার্গভাল গোলমুখে শট মারেন, এরপর রদ্রিগো বেন্টাকুরের হেড লাগে ক্রসবারে। ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলকিপার কাওয়া সান্তোস দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ঠেকাতে থাকেন সব শট। বিশেষ করে অতিরিক্ত সময়ে মিকি ভ্যান দ্য ভেনের হেড ঠেকিয়ে স্পার্সকে জয়বঞ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

গোলখরা কাটাতে মনোবিদের শরণাপন্ন রিচার্লিসন

টটেনহ্যামে হোঁচট খেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পোস্টেকগলু বলেন, “আমি এখন বুঝে গেছি যে, ফুটবল ইশ্বর এই মৌসুমে অন্য দল নিয়ে ব্যস্ত! আমাদের দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছে না। তাই আমাদের যা কিছু করতে হবে, সেটা নিজেদের চেষ্টাতেই করতে হবে, কোনো ঐশ্বরিক সহায়তা দিয়ে নয়।”

এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের স্পার্সের দ্বিতীয় মৌসুমটা ভীষণ হতাশাজনক। একের পর এক ইনজুরিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছিটকে গেছেন, সঙ্গে ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্স মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে ক্লাবটি নেমে গেছে ১৪তম স্থানে, যেখানে তারা অর্ধেকেরও বেশি ম্যাচ হেরে বসেছে। ইউরোপা লিগ এখন স্পার্সের একমাত্র সুযোগ কিছু জেতার, একই সাথে ১৭ বছরের ট্রফি খরা কাটানোর।

বৃহস্পতিবার স্পার্স কাঙ্ক্ষিত জয় না পেলেও, পোস্টেকগলু দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং কিছু খেলোয়াড়ের বিশেষ প্রশংসা করেছেন, “পুরো দলটাই ভালো খেলেছে। আমি মনে করি রদ্রি (বেন্টানকুর) অসাধারণ ছিল। দুই ফুলব্যাক রক্ষণে এবং আক্রমণে দারুণ অবদান রেখেছে। কুতি (ক্রিস্টিয়ান রোমেরো) আর মিকি (ভ্যান দ্য ভেন) প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভালোভাবে সামলেছে, শুধু যে গোলটা খেয়েছি, সেটা ছাড়া সবই ভালো ছিল।”

স্পার্স তাদের পরবর্তী প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে রোববার (১৩ এপ্রিল) উলভারহ্যাম্পটনের মুখোমুখি হবে। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তারা দ্বিতীয় লেগ খেলতে জার্মানিতে ফ্রাঙ্কফুর্ট সফরে যাবে।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপার লিগে উঠল যারা
  • ম্যানসিটির ফুটবলারদের ‘সংকল্প ও ইচ্ছাশক্তি’ অভাব
  • বার্সেলোনা নয়, মেসি মায়ামিতেই থাকছেন
  • ‘ফুটবল ইশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই’- স্পার্স কোচ
  • ওনানার মারাত্মক দুই ভুলে ইউরোপায় ড্র করল ইউনাইটেড