জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাগারে থাকা ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ছয়জনের বিরুদ্ধে (শ্যোন অ্যারেস্ট) প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তদন্ত সংস্থার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ছাড়াও অপর পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি বশির উদ্দিন ও মহানগর উত্তরের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রুবেল।

এদিকে, অপর আবেদনে উত্তরা এলাকার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল হোসেন আলীকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আরেকটি আবেদনে উত্তরা এলাকার একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও গাজী এমএইচ তামিম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে ধোঁয়ায়-দূষণে ধুঁকছে গ্রামটি

একটি গ্রামেই গড়ে উঠেছে ৩৬টি ইটভাটা। দিনরাত ইট পোড়ানো হয় এসব ভাটায়। ইট নিতে সারাক্ষণ চলাচল করে যানবাহনগুলো। এতে ধুলা-ধোঁয়ায় প্রায় সময় আচ্ছন্ন থাকে গ্রামটি। এ চিত্র লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের।

চর আফজল গ্রামে বাসিন্দা রয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার। অপরিকল্পিত ইটভাটার কারণে বেকায়দায় রয়েছেন তাঁরা। তবে শুধু এই গ্রাম নয়, পুরো চর রমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দাদেরই ইটভাটার কারণে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর আফজল গ্রামের আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এক-দুটি বাড়ির পরেই রয়েছে ইটভাটা। গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ইটভাটার কারণে গাছপালাও মরে যাচ্ছে। আগুনের তাপে গাছগুলো লাল হয়ে যায়। আরেক বাসিন্দা কৃষক নজরুল মিয়া বলেন, লোকালয়ের মধ্যে থাকা ভাটায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে রবি শস্যের। এখন আর এ এলাকায় তেমন রবিশস্য হয় না।

বসতবাড়ির পাশে ও ফসলি জমিতে ইটভাটা করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক নুরুল ইসলাম, মো. আলমগীর ও কামরুল ইসলাম বলেন, ইটভাটাগুলো আগেই করা হয়েছে। তখন গ্রামে মানুষের বসতি কম ছিল।

২০২৪ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন। তিনি জানান, রিটে রামগতি উপজেলার ৪৮ এবং কমলনগর উপজেলার ১০টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এরপরও এসব ইটভাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।

জানতে চাইলে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পর আমরা বেশ কিছু ইটভাটা ভেঙে দিয়েছি। প্রশাসনের লোকজন চলে আসার পর তাঁরা আবারও ইটভাটা মেরামত করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করা হয়েছে এবং ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ